টেস্টের
গতিপথ তৃতীয়দিনেই অনেকটা নির্ধারণ হয়ে যায়। চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের
বিপে টাইগারদের সিরিজের প্রথম টেস্টও এগিয়েছে একটা গতিপথে। বারবার রং
বদলানো ম্যাচে দ্রুত ৫ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। পরে দেখায় লড়াই। আবার ছয়
রানে ৫ উইকেট হারিয়ে হুট করে ধসে যায়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসেও তারা
দিয়েছে ধাক্কা। তবে ৭ উইকেট হাতে রেখে ২১৮ রানের লিডটা স্বস্তি হয়ে এসেছে
মুমিনুল-মিরাজদের জন্য।
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংস থেকে ৪৩০ রান পায়
বাংলাদেশ। জবাবে ২৫৯ রানে থামে ক্রেগ ব্রাথওয়েটদের প্রথম ইনিংস। ১৭১ রানের
বড় লিড পাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে এক রানে হারায় তামিম
ইকবাল ও নাজমুল শান্তকে। দু'জনই রাকিম কর্নওয়ালের বলে শূন্য করে ফেরেন।
এরপর ঠান্ডা মাথায় খেলা সাদমান ইসলামও ফিরে যান ৪২ বলে ৫ রান করে। বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে তুলতে পেরেছে ৪৭ রান।
চতুর্থদিন অধিনায়ক
মুমিনুল হক ৩১ ও মুশফিকুর রহিম ১০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন। চেষ্টা
চালাবেন লিড বাড়িয়ে নেওয়ার। এর আগে দ্বিতীয়দিন ৭৫ রানে ২ উইকেট হারানো
ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয়দিনের প্রথম বলেই তাইজুল ইসলামের বলে উইকেট হারায়।
এরপরই উইন্ডিজ শিবিরে ধাক্কা দেন নাঈম হাসান ও মেহেদি মিরাজ। সেই ধাক্কায়
ফিরে যান ৭৬ রান করা ক্রেগ ব্রাথওয়েট ও ৪০ রান করা কাইল মায়ার্স।
তবে ৯৯
রানের জুটি গড়ে জার্মেইন ব্লাকউড ও জসুয়া ডি সিলভা চোখ রাঙানি দেখাচ্ছিলেন
বাংলাদেশকে। কিন্তু হুট করেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধসে যায় তারা। ৫ উইকেটে ২৫৪
থেকে থামে ২৫৯ রানে। জার্মেইন ব্লাকউড ফিরে যাওয়ার আগে করেন ৬৮ রান। এছাড়া
জসুয়া ডি সিলভার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রানের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে মেহেদি
মিরাজ ৫৮ রান খরচায় তুলে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান, নাঈম হাসান
ও তাইজুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট। বুধবার শুরু হওয়া টেস্টে বল হাতে জাদু
দেখানোর আগে ব্যাট হাতে আসল জাদুটা দেখিয়েছেন মেহেদি মিরাজ। ব্যাট হাতে
তিনি তুলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া মিলিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
১৩ চারে তার ব্যাট থেকে বেরোয় ১০৩ রানের ইনিংস।
এছাড়া সাকিব আল হাসান
৬৮ ও সাদমান ইসলাম করেন ৫৯ রান। বড় সংগ্রহ পেতে বাংলাদেশ পে মুশফিকুর রহিম ও
লিটন দাসের ৩৮ করে রান রেখেছে অবদান। এমনকি নাজমুল শান্তর ২৫, মুমিনুল
হকের ২৬, নাঈম হাসানের ২৪ এবং তাইজুলের ১৮ রানও রেখেছে অবদান। প্রথম ইনিংসে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪ উইকেট নিয়ে সফল বোলার বাঁ-হাতি স্পিনার জোমেল
ওয়ারিকান।