আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা মেলে দুই অর্ধে দুটি করে গোল পেল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। দুই গোল শোধ করাটা শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের যা একটু ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকল। প্রিমিয়ার লিগে টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল সাইফুল বারী টিটুর দল।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার ৪-২ গোলে জিতেছে শেখ জামাল। টানা পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে শফিকুল ইসলাম মানিকের দল। এক ম্যাচ বেশি খেলা বসুন্ধরা কিংস ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে শীর্ষে।
শেখ জামালের জয়ে ছয় ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শেখ রাসেল চতুর্থ স্থানে এবং ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী লিমিটেড তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে।
চতুর্থ মিনিটে বখতিয়ার দুইশবেকভের কর্নারে ওবি মোনেকের হেড দূরের পোস্ট দিয়ে বাইরে যাওয়ার পর শেখ রাসেলের প্রথমার্ধের বাকিটা সময় কেটেছে আক্রমণ সামলাতে।
টানা চার জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামা শেখ জামাল ত্রয়োদশ মিনিটে গোলবঞ্চিত হয়। উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার ভালিজনোভ ওতাবেকের ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে।
৩১তম মিনিটে লিগের ২০১৪-১৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল আবারও দূর্ভাগ্যের শিকার। এবার ২৫ গজ দূর থেকে নুরুল আবসারের দারুণ ভলি গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার পর ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুই গোল করে ম্যাচে চালকের আসনে বসে শেখ জামাল। প্রথম গোলে অবশ্য গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার মনোযোগের কমতির দায় ছিল। বক্সের বাইরে থেকে সুলাইমান সিল্লাহর শটে বলের লাইনে ছিলেন রানা। কিন্তু একটু লাফিয়ে উঠে তালগোল পাকান তিনি। বল তার গ্লাভস ফসকে জাল খুঁজে নেয়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ভালিজনোভের থ্রু পাস ধরে গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড ওমর জোবের বক্সে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৫৯তম মিনিটের গোলে শেখ রাসেলকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে শেখ জামাল। বাঁ দিক থেকে সুলেমান কিংয়ের শট তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার সিওভুস আসরোরভ ফেরানোর পর জোবের ফিরতি কোনাকুনি শটে পরাস্ত রানা।
৬৬তম মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে ভালো পজিশন থেকে ক্রসবার উঁচিয়ে মেরে ম্যাচে ফেরার সুযোগ নষ্ট করেন শেখ রাসেলের মোহাম্মদ ইলিয়াস। তিন মিনিট পর গোল পায় ২০১২-১৩ মৌসুমের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। দুইশবেকভের কর্নারে মোনেকের হেড দূরের পোস্টে লাগার পর জিয়াউর রহমান ফেরালেও বল গোললাইন পেরিয়ে যায়।
৭৪তম মিনিটে শেখ রাসেলের ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা আরও কঠিন করে দেয় সলোমন কিংয়ের পেনাল্টি গোল। ডি-বক্সে গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ডকে পেছন থেকে ট্যাকলে বদলি ডিফেন্ডার রাশেদুল আলম মনি ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
দুইশবেকভ ৮২তম মিনিটে স্পট কিক থেকে ব্যবধান কমান। ডি-বক্সে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে মনির হোসেন ফাউল করলে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল।