Published : Sunday, 7 February, 2021 at 12:00 AM, Update: 07.02.2021 1:54:45 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর||
কুমিল্লার
মুরাদনগর উপজেলা সদরের নিমাইকান্দি এলাকার উম্মেহানি মহিলা মাদরাসার
পরিচালক মোহাম্মদ হাসানকে ছাত্রী শ্লীলতাহানীর অভিযোগে শনিবার দুপুরে
গ্রেফতার পূর্বক আদালতের মাধ্যমে ফের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত
মোহাম্মদ হাসান (৪৬) উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নিমাইকান্দি গ্রামের
মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
মামলার এজাহার ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,
উম্মেহানি মহিলা মাদরাসার এক ছাত্রীকে গত সোমবার রাতে মাদরাসার পরিচালক
হাসান তার অফিস কক্ষে ঢেকে আনে। এ সময় ওই ছাত্রীর সাথে যৌন উত্তেজক
আপত্তিমূলক কথা বলার এক পর্যায়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় সে। গত
বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর সাথে তার মা দেখা করতে গেলে সে মাদরাসা পরিচালকের
সব ঘটনা খুলে বলে। পরে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার
দিকে অভিভাবকরা এসে মাদরাসা ঘেড়াও করে। তখন ভিতরে থাকা ছাত্রীরা ভয়ে চিৎকার
ও চেঁচামেচিতে মাদরাসার পাশে বসবাস কারীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এই খবরে
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাদরাসা পরিচালক হাসান ও ঘটনার শিকার মাদরাসার ছাত্রী ও
স্বাক্ষীগণকে থানায় নিয়ে আসে। এক ছাত্রীর অভিভাবক ও পৈয়াপাথর গ্রামের
রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে মাদরাসা পরিচালক মোহাম্মদ হাসানের বিরুদ্ধে
ম্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ করে। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ শনিবার
দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
এ দিকে মাদরাসা
পরিচালক মোহাম্মদ হাসানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর
মুরাদনগর থানায় আরেকটি মামলা করেন রহিমপুর গ্রামের জুলেখা বেগম। সে মামলায়
দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে বর্র্তমানে ওই মামলায় তিনি জামিনে রয়েছে।
মুরাদনগর
থানার ওসি সাদেকুর রহমান দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, মাদরাসায় পড়–য়া
অনেক ছাত্রীর অভিভাবকের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা
হয়। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা
নেই। পরে মাদরাসা পরিচালক হাসানকে কারাগারে প্রেরণ করি।