অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে ৩০০ কোটিরও বেশি ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড। সম্প্রতি এক খবরে এমন টাই জানা গেছে। আর তারপর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন অনেকে। এক অনলাইন হ্যাকিং ফোরামে ৩.২ বিলিয়নের বেশি ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই COMB (Compilation of Many Breaches) ডেটার মধ্যে রয়েছে নেটফ্লিক্স, লিঙ্কডইন, বিটকয়েন-সহ একাধিক অ্যাপের ইউজার নেম, ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। সাইবার বিভাগের তরফে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। খবরে জানা গেছে, আগামী একমাসের মধ্যে এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবে সংশ্লিষ্ট কমিটি।
সাইবার নিউজ-এ (CyberNews) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি যে ডেটাবেস লিক হয়েছে, তার মধ্যে একাধিক অনলাইন স্ক্রিপ্ট রয়েছে। স্ক্রিপ্টগুলি হল count-total.sh, query.sh ও sorter.sh। এই COMB ডেটা অ্যালফাবেটিকাল অর্ডারেও সাজানো রয়েছে। সব মিলিয়ে ডেটাবেসে মোট ৩.২৭ বিলিয়ন ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড রয়েছে।
একই ঘটনা ঘটেছিল ২০১৭ সালে। সেবারেও অনলাইনে প্রায় ১.৪ বিলিয়নের বেশি ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ডও ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময়ে সমস্যায় পড়েছিল লিঙ্কডইন, মাইনক্রাফ্ট, নেটফ্লিক্স, বাদু, বিটকয়েন-সহ একাধিক সংস্থা। নানা অনলাইন সার্চিং লিস্টে ছড়িয়ে পড়েছিল ব্যবহারকারীদের তথ্য।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে বড়সড় সমস্যায় পড়তে পারেন ব্যবহারকারীরা। অনেক ব্যবহারকারী রয়েছেন, যারা সমস্ত সাইট, অ্যাপ, সোশাল মিডিয়ার জন্য একই পাসওয়ার্ড রাখেন। অর্থাৎ গুগলে যেই লগ-ইন পাসওয়ার্ড রয়েছে, নেটফ্লিক্স-এ সেই একই পাসওয়ার্ড।
এক্ষেত্রে হ্যাকাররা একবার একটি পাসওয়ার্ড জেনে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর বাকি অ্যাকাউন্টগুলোও সহজেই হ্যাক করে নেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের বিপদ থেকে বাঁচার জন্য যতটা সম্ভব আলাদা ও ভিন্ন ধরনের পাসওয়ার্ড রাখতে হবে। প্রতিটি পাসওয়ার্ড স্ট্রং রয়েছে কি না, তা দেখতে হবে। যদি সম্ভব হয়, টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এনেবল করে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে অনেকটা নিরাপদ থাকা যায়।
আপনার তথ্য সুরক্ষিত রয়েছে কি-না, তা জানার জন্য সাইবার নিউজ-এর পার্সোনাল ডেটা লিক চেক ওয়েবসাইটে যেতে পারেন। এই অনলাইন রিপোজিটরি সিস্টেম থেকে নিজের তথ্য জানা যাবে।
যদি এই রকম কোনো আশঙ্কায় ভুগছেন, তাহলে তড়িঘড়ি নিজের পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে নেয়াই ভালো। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনে প্রতি মাসে একবার করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা যেতে পারে। এতে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকা যাবে। নিজের গোপন তথ্য রক্ষা করা যাবে