প্রভাষ আমিন ||
গল্পটা
ঠিক মনে নেই। এক লোক ভুল করে আরেক লোকের জমিতে ঢুকে পড়েছিল। দেখে জমির
মালিক হইহই করে উঠলো, ঢুকে পড়া লোকটি দাঁড়িয়ে গেল। এখন তিনি সামনে যেতে
পারছেন না, পেছনে যেতে পারছেন না, ডানে-বায়ে কোনো দিকেই যেতে পারছেন না। এক
পর্যায়ে লোকটি অসহায় কণ্ঠে জমির মালিকের কাছে জানতে চাইলেন, আমি তাহলে কী
করবো? ুব্ধ জমির মালিক বললেন, আপনি কীও করতে পারবেন না।
মাঝে মাঝে
সরকারকে আমার তেমন অসহায় মনে হয়। সরকার যাই করুক, তাই খারাপ; তারা আসলে কীও
করতে পারবে না। শুরুর দিকে পরিকল্পনা ছিল, আগে ফ্রন্টলাইন ফাইটার এবং
সাধারণ মানুষকেই করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হবে। শুভ ইচ্ছা থেকেই এ পরিকল্পনা
নেয়া হয়েছিল। কারণ বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষ। তার মধ্যে অন্তত ১২ কোটি
মানুষকে টিকা দিতে হবে। ১২ কোটি মানুষকে টিকা দিতে হলে ২৪ কোটি ডোজ লাগবে।
অথচ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনেছে, যেটা ধাপে ধাপে
বাংলাদেশে আসবে। ভারত সরকার ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে।
এছাড়া
কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আরো কিছু টিকা বাংলাদেশ পাবে। তাও সব মিলিয়ে সংখ্যাটা
নেহায়েতই কম। তাই যাদের আগে টিকা দরকার, তারাই যেন আগে পায়; সেটা নিশ্চিত
করাটাই জরুরি। যেমন ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা
আগে টিকা পাবেন। কিন্তু একটি কোভিড হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকও
নন-কোভিড হাসপাতালের পরিচালকেরও আগে টিকা পাবেন। এটাই অগ্রাধিকার তালিকা,
এটাই ন্যায্যতার হিসাব।
অনেক অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আছেন, যাদের
বাসার বাইরে যেতে হয় না। যতই ভিআইপি হোন না কেন, অগ্রাধিকার তালিকায় তার
নাম একজন নার্সের পরই থাকবে। এভাবেই তালিকা করা হচ্ছিল। তাই ভিআইপিদের নাম
প্রাথমিক তালিকায় ছিল না। এরপরই একটি মহল অপপ্রচারের ডালি নিয়ে মাঠে নামে।
টিকা কেন ভারত থেকে আনা হলো, এই টিকা গোমূত্র দিয়ে বানানো হয়েছে, এই টিকা
হারাম, ভারত ট্রায়ালের জন্য আমাদের টিকা উপহার পাঠিয়েছে, এই টিকা দিলে
মানুষ মারা যাবে, এই টিকা দিলে নারী পুরুষ হয়ে যাবে। ইত্যাদি ইত্যাদি
অপপ্রচারের কোনো শেষ নেই, কোনো যুক্তি নেই। অবৈজ্ঞানিক অপপ্রচারের সাথে
অনেকে বাংলাদেশের রাজনীতির পুরোনো কার্ড ‘ভারত বিরোধিতা’ নিয়ে মাঠে নামে।
এমনকি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো সিনিয়র মানুষও, প্রধানমন্ত্রীকে সবার আগে
টিকা নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি নিজেও জানেন এটা সম্ভব নয়, তাও রাজনৈতিক
ফায়দা নিতে এই অযৌক্তিক দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই অপপ্রচার আর রাজনীতিতে
হাওয়া দিয়েছে, বিভিন্ন দেশে টিকার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই প্রাথমিক
বিবেচনায় অপপ্রচারকারীরা সফল। তারা জনগণের মনে ভয়, দ্বিধা, সংশয় ঢুকিয়ে
দিতে পেরেছেন। তাতে সেই অপপ্রচারকারীদের হয়তো লাভ হয়েছে, তবে শেষ বিচারে তি
জনগণেরই।
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে। শুধু টিকা নয়, বিশ্বের
সব ওষুধেরই কোনো না কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এমনকি আপনারা যে মুড়ি
মুড়কির মতো প্যারাসিটামল খান, তাতেও কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।
বাংলাদেশের যে সফল টিকা কর্মসূচি আছে, সেই টিকা দিলেও শিশুদের জ্বর আসে।
ছেলেবেলায় ভয়ঙ্কর টিকার চিহ্ন এখনও আমাদের অনেকের বাহুতে আছে। তাই
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে টিকা না দেয়া মানেই বোকামি। যেহেতু করোনা
মোকাবিলার আর কোনো উপায় আবিষ্কৃত হয়নি এবং যেহেতু করোনার সাথেই আমাদের
মানিয়ে চলতে হবে; তাই টিকাই আপাতত একমাত্র সমাধান। মনে রাখবেন, প্রয়োজনের
তুলনায় বাংলাদেশ স্বল্পসংখ্যক টিকাই হাতে পেয়েছে। সুযোগ থাকলে আগেই টিকা
দিয়ে ফেলুন। বিভ্রান্তির মেঘ একসময় কাটবেই। এমনও হতে পারে, আপনি যখন টিকা
দিতে আগ্রহী হলেন, তখন টিকা পেলেন না বা পেলেও অপো দীর্ঘ হলো।
বলছিলাম,
সরকারের কথা। শুরুতে যখন বলা হলো, ভিআইপিরা নয়, অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী
যার দরকার তিনিই টিকা পাবেন। তখন তুমুল সমালোচনা, ভিআইপিরা ঝুঁকি নিতে চান
না। সাধারণ মানুষের ওপর ভারতের টিকার ট্রায়াল চালানো হবে। তখন
অপপ্রচারকারীরা সরকারি দলের নেতাকর্মীদের আগে টিকা নিতে বললেন। সমালোচকদের
মুখ বন্ধ করতেই কিনা জানি না, ৭ ফেব্রুয়ারি আমজনতাকে টিকা দেয়ার দিন
মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিরা, সিনিয়র ডাক্তার,
পেশাজীবীদের অনেকেই টিকা নিয়েছেন। তারা একটাই বার্তা দিতে চেয়েছেন, টিকায়
ভয়ের কিছু নেই। গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা টিকাদান
কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। সেদিন থেকে যাদের দেয়া হয়েছে, তাদের সবাই সুস্থ
আছেন। দুর্জনের মুখে ছাই দিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর
মেলেনি।
সরকারের অনেক ভুল আছে, অনেক দুর্নীতি আছে, সুশাসনের ঘাটতি আছে;
সেটা নিয়ে সবারই কথা বলতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ সবকিছুতেই সরকারের
খুঁত খুঁজে বেড়ায়। গৃহহীনদের ঘর দেয়া বা দ্রুত করোনার টিকা নিশ্চিত করার
মতো সাফল্যে ধন্যবাদ জানাতেও আমাদের কার্পণ্য। এটা ঠিক করোনা যখন এলো, তখন
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দশা হয়েছিল। বাংলাদেশ তিন মাস সময়
পেলেও করোনা মোকাবেলায় প্রায় কোনো প্রস্তুতিই নেয়নি। হাসপাতালে হাসপাতালে
হাহাকার ছিল। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে অ্যাম্বুলেন্সেই
মানুষ মারা গেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা পুষিয়ে দিয়েছেন
ডাক্তাররা। তারা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে লড়াই করেছেন
এবং বাংলাদেশেই তুলনামূলক সবচেয়ে বেশি ডাক্তার করোনার শিকার হয়েছেন।
করোনা
টেস্ট নিয়ে বাংলাদেশে যা হয়েছে, তা রীতিমতো অপরাধ। ভুয়া করোনা টেস্ট, ভুয়া
এন৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারিসহ নানা কেলেঙ্কারির খবর বাতাসে ভেসে বেরিয়েছে। এত
অব্যবস্থাপনা সত্ত্বেও প্রকৃতির কৃপায় বাংলাদেশ আসলে বেঁচে গেছে। উন্নত
দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ছিল অনেক কম। হয়তো প্রাকৃতিকভাবেই
বাংলাদেশের মানুষের রোগ প্রতিরোধ মতা ভালো। তাই আমরা বেঁচে গেছি। নইলে
ইতালি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ উন্নত দেশগুলোতে করোনা যে
ভয়াবহ আক্রমণ চালিয়েছে, সেই তীব্রতা থাকলে বাংলাদেশের মতো ঘনবসতি দেশে
ভয়ঙ্কর অবস্থা সৃষ্টি হতে পারতো।
করোনার অব্যবস্থাপনা থেকে শিা নিয়ে
বাংলাদেশ টিকার যুদ্ধে নেমেছে এবং মানতে দ্বিধা নেই, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ
দারুণভাবে সফল। এই সাফল্যের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস এবং
দূরদর্শিতার ভূমিকা রয়েছে। তবে তাকে সাহস দেখানোর পথটা দেখিয়েছিলেন তার
বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এই ব্যবসায়ী নানা কারণে
আলোচিত-সমালোচিত। কিন্তু তার ব্যবসায়িক দূরদর্শিতাই অন্য অনেক দেশের আগেই
বাংলাদেশকে টিকা পাইয়ে দিয়েছে। পাশের দেশ ভারতের পুনেতে অবস্থিত সেরাম
ইনস্টিটিউট পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি। গবেষণা পর্যায়েই
সেরাম অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদনের অনুমতি পায়। তখনই সালমান
এফ রহমান সেরামের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশে তাদের ডিলারশিপের অনুমতি
চান। এরপর আসে অক্সফোর্ডের টিকার প্রশ্ন। তখন সেরাম জানিয়ে দেয়, আগাম টাকা
দিলেই কেবল তারা আগে টিকা পেতে পারে। পুরো বিষয়টি জেনে প্রধানমন্ত্রী আগাম
টাকা দিতেও সম্মত হন। তবে পুরো নয়, অর্ধেক টাকা আগাম, বাকিটা সরবরাহের পর।
তাতে সেরাম রাজি হয়। প্রতি ডোজ ৪ ডলার হিসেবে ৩ কোটি ডোজের অর্ধেক মানে ৬
কোটি ডলার বাংলাদেশ আগেই দিয়ে দেয়। তারপর ত্রিপীয় চুক্তি:
সেরাম-বেক্সিমকো-বাংলাদেশ সরকার। মানে বেক্সিমকো সেরামের কাছ থেকে টিকা
কিনে বাংলাদেশ সরকারকে দেবে। অনুমোদন পাওয়ার আগেই কোনো টিকার পেছনে ৬ কোটি
ডলার বিনিয়োগ করতে সাহস লাগে। আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পে থাকে। শেখ হাসিনা
সেই সাহসটুকু দেখাতে পেরেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ টিকা পাওয়া গর্বিত জাতি।
বিশ্বের অনেক দেশ এখনও টিকা পায়নি এবং কোভ্যাক্সের আশায় বসে আছে।
কোভ্যাক্সের আশায় বসে থাকলে বাংলাদেশ জুলাই-আগস্টের আগে টিকার দেখা পেত না।
আরেকটা
বড় অপপ্রচার হলো দাম নিয়ে। এটা নিছকই অপপ্রচার। কারণ বাংলাদেশ বেশ সস্তায় ৩
কোটি ডোজ টিকা পেয়েছে। এখানেও ঝুঁকি নেয়ার সাহস এবং দূরদর্শিতার গল্প। যে
ত্রিপীয় চুক্তি হয়েছে, সেটিও অসাধারণ একটি চুক্তি। প্রতিটি ৪ ডলার হিসেবে
বাংলাদেশ অর্ধেক টাকা আগাম দিয়েছে। সেই চুক্তিতেই শর্ত ছিল, যদি ভারত এর
চেয়ে কম দামে টিকা কেনে, তাহলে বাংলাদেশকেও সেই দামে দিতে হবে। মানে হলো
ভারত যদি ৩ ডলারে কেনে, বাংলাদেশের কাছ থেকেও ৩ ডলারই রাখতে হবে। কিন্তু
ভারত যদি ৬ ডলারেও কেনে, বাংলাদেশ ৪ ডলারের বেশি দেবে না। তার মানে
ডোজপ্রতি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দাম ৪ ডলার। ভারত এর কমে কিনলে, বাংলাদেশও
সেই দামে পাবে। দাম কম হলেও বাংলাদেশ টাকা ফেরত নেবে না, বরং বাড়তি টাকায়
আরো টিকা কিনবে। এটি একটি অসাধারণ চুক্তি। কারণ, এর চেয়ে ভালো দাম আর কারো
পইে পাওয়া সম্ভব নয়। অনুমোদন পাওয়ার আগে ঝুঁকি নিয়ে আগাম টাকা দিয়েছে বলেই
এই সুবিধাটা পেয়েছে। এখন বেক্সিমকো কিনতে গেলেও ৮-১০ ডলারে কিনতে হবে।
বাংলাদেশ
যদি অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন পর্যন্ত অপো করতো এবং নিয়ম-কানুন মেনে
কিনতো; তাহলে পেতে আরো ৫-৬ মাস সময় লাগতো, দামও অনেকে বেশি হতো। এখানেই
সাহস এবং দূরদর্শিতার প্রশ্ন। তবে সেরাম থেকে যে দামে কেনা হবে, বেক্সিমকো
তার সাথে এক ডলার বেশি নেবে। এখানেই বেক্সিমকোর ব্যবসা। তারা ৩ কোটি ডোজ
টিকায় ৩ কোটি ডলার পাবে। এই অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, যেহেতু এই টিকা
জনস্বার্থে কেনা হচ্ছে, তাই বেক্সিমকো প্রতি ডোজে এক ডলার লাভ না করে
আরেকটু কম করতে পারতো। তবে সেরাম থেকে কিনেই কিন্তু বেক্সিমকোর দায়িত্ব শেষ
হচ্ছে না। সঠিক কোল্ড চেইন বজায় রেখে জেলায় জেলায় টিকা পৌঁছে দেয়াও
বেক্সিমকোরই কাজ। এই প্রক্রিয়ায় যে কোনো য়তির দায়-দায়িত্ব বেক্সিমকোরই।
অনেকে বলছেন, বেক্সিমকো কেন? এটা ঠিক, বেক্সিমিকো সরকারের ঘনিষ্ঠ কোম্পানি।
তাই এই টিকা বেক্সিমকো না এনে অন্য কোনো কোম্পানি আনলে ভালো দেখাত। কিন্তু
ব্যবসায়ী সালমান রহমান যে দূরদর্শিতা দেখাতে পেরেছেন, অন্য কেউ সেটা
পারেনি।
বড় সমালোচনার সবচেয়ে ছোট্ট জবাব। বাংলাদেশে এখন যে ৭০ লাখ ডোজ
টিকা আছে, এই টিকার নাম ‘কোভিশিল্ড’। এটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার
টিকা। অন্যতম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সেরাম ভারতে অবস্থিত, এছাড়া এই টিকার সাথে
ভারতের আর কোনো সম্পর্ক নেই। ভারতও বাংলাদেশের মতো টাকা দিয়ে সেরাম থেকে
টিকা কিনছে।
২৭ জানুয়ারি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচকদের জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে
সব ভালো কাজের সময়ই কিছু নেতিবাচক মতপ্রকাশের লোক থাকে, হয়তো তাদের কাছ
থেকে মানুষ কোনো সহযোগিতা পায় না। কিন্তু কোনো কাজ করতে গেলে তারা মানুষের
মনে বিরূপ মনোভাব তৈরির জন্য সমালোচনা করতে থাকে, মানুষের মনে ভয়ভীতি
ঢুকিয়ে দেয়। কিছুই তাদের ভালো লাগে না। এ ভালো না লাগা রোগের কোনো টিকা
পাওয়া যাবে কি না সেটাও আমি জানি না।‘ তিনি আরো বলেন, ‘সব কিছুর মধ্যেই
তারা দোষ খুঁজবে। নানা প্রশ্ন তাদের। তাদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে দেব, যাতে তারা
সুস্থ থাকে। তারা সুস্থ না থাকলে আমাদের সমালোচনা করবে কে! তাই তাদের
সাধুবাদ দিতে চাই। তারা যত বেশি সমালোচনা করেছে, আমরা তত বেশি কাজ করার
প্রেরণা পেয়েছি। তাই যাদের কিছুই ভালো লাগে না রোগ আছে, অযথা মানুষকে ভয়
দেখায়, তাদেরও টিকা দেব।’
এখন টিকা সবার জন্য উন্মুক্ত। চাইলে নিয়ম মেনে
নিবন্ধন করে সবাই টিকা দিতে পারবে। তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জটিলতা এবং
অপপ্রচারের কারণে টিকা নিয়ে এখন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের আগ্রহ কম। তাছাড়া
করোনার সংক্রমণ কমে আসার কারণেও মানুষের আগ্রহ কম। তার চেয়ে বড় কথা,
অপপ্রচারের বিপে টিকা নিয়ে সচেতনতা তেমন হয়নি। -বাকি অংশ ৭ এর পাতায়