ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
সয়াবিনের উপকারিতা
Published : Wednesday, 10 February, 2021 at 7:47 PM
সয়াবিনের উপকারিতাভরপুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সয়াবিন সব বয়সীদেরদের জন্যই সমান উপকারী। এক পরিসংখ্যান বলছে, সপ্তাহে তিন দিন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম সয়াবিন ও নিয়মিত সয়ামিল্ক খেলে হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করা যায়। মেনোপজের পর নারীদের হাড়ে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ফলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। রোজকার ডায়েটে ফাইটোইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ সয়াপ্রোটিন থাকলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমে যায়।

রক্ত চলাচলে সাহায্য করে
সয়াবিনে আছে আইসোফ্ল্যাভেন ও লেসিথিন। দুটিই শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এগুলো লো ডেনসিটি কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্যে করে। এলডিএল অর্থাৎ লোডেনসিটি কোলেস্টেরল অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ধমণির মধ্যে কোলেস্টেরলের পলি জমিয়ে রক্ত চলাচল কমিয়ে দেয় এই এলডিএল। সয়াবিনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এই সমস্যার মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে।

অকালবার্ধক্য রোধ করে
সয়াবিনের আইসোফ্ল্যাভেন অত্যন্ত জোরালো ফাইটো ইস্ট্রোজেন। ত্বক ও চুল উজ্জ্বল ও ঝকঝকে রাখতে এই যৌগ সাহায্য করে। সয়াবিনে থাকা লেসিথিন রক্তচাপ স্বাভাবিক রেখে হার্ট ও মস্তিষ্ককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এতে অকালবার্ধক্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সয়াবিনের লেথিসিন ফ্যাট মেটাবলিজিম বাড়াতে সাহায্য করে। তাতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হৃদযন্ত্রের যত্নে
সপ্তাহে দিন তিনেক ৫০ মিলিগ্রাম করে সয়াবিন খেলে এইচডিএল এবং এলডিএলের ভারসাম্য রক্ষা হয়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে। ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, খাবার পরিপাকের সময় সয়া-প্রোটিন নামে এক যৌগ তৈরি হয়, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্যে করে। সয়া-ফাইবার রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
সয়াবিনে আছে ফাইটিক অ্যাসিড, স্যাপোনিন, আইসোফ্ল্যাভেন ও আরও নানা পুষ্টিকর উপাদান। এগুলোর প্রতিটিই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

সাবধানতা
অতিরিক্ত সয়াবিনের ক্ষতিকারক দিকও আছে। পুষ্টিবিদদের মতে, ৫০ গ্রামের বেশি সয়াবিন খাওয়া ঠিক নয়। অনেকেরই বেশি সয়াবিন হজমে সমস্যা হয়। তবে সয়ামিল্ক প্রতিদিনই খাওয়া যায়। কিডনির সমস্যায় যারা ভুগছেন, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন সয়াবিন।