নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লীপুর
জেলা ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নিয়ে গঠিত কর অঞ্চল কুমিল্লার ৫১ জন সেরা
করতাদাকে জাতীয় রাজস্ব রোর্ডের উদ্যোগে সম্মাননা জানানো হয়েছে। ১১
ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডস্থ হোটেল
নূর জাহানের সম্মেলন কে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কর অঞ্চল কুমিল্লা।
অনুষ্ঠানে কর অঞ্চল কুমিল্লার ছয় জেলা ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার
২০১৯-২০২০ করবর্ষের সর্বোচ্চ, দীর্ঘমেয়াদী, মহিলা ও তরুণ ক্যাটাগরি এবং
জাতীয়ভাবে ট্যাক্স কার্ডের জন্য নির্বাচিত সর্বমোট ৫১জন করদাতাকে সম্মাননা
হিসেবে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা-৭ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং
সরকারী প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো: আলী
আশরাফ।
কর অঞ্চল কুমিল্লার কর কমিশনার মো: মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে
বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের
কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য
রাখেন কর অঞ্চল কুমিল্লার অতিরিক্ত কর কমিশনার সাধন কুমার রায়।
প্রধান
অতিথি অধ্যাপক মো: আলী আশরাফ বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে জনগনকে ট্যাক্স
দিতে হবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বাড়ানোর পাশাপাশি আত্ম শক্তিতে বলিয়ান হতে
ট্যাক্স প্রদান করতে হবে। তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষ এখন অনেক
স্বাবলম্বী। দেশের প্রতিটি উপজেলায় ট্যাক্স অফিস স্থাপন করতে হবে। দেশকে
অর্থনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী করতে জনগণকে বেশি বেশি ট্যাক্স দিতে হবে এবং
এর পরিধি বাড়াতে হবে। যারা সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের তিনি
অভিনন্দন জানান। তিনি কর বিভাগের জনবল বৃদ্ধির পে মতামত ব্যক্ত করেন। কর
ভিত্তি সম্প্রসারিত হলে বর্তমান রাষ্ট্রের ঘাটতি বাজেট থেকে অচিরেই
উদ্বৃত্ত বাজেটে উত্তরণ ঘটবে।
কর অঞ্চল কুমিল্লার যুগ্ম কর কমিশনার
মোহাম্মদ শাহ আলম এবং কর অঞ্চল কুমিল্লার উপ কর কমিশনার, সদর দপ্তর
(প্রশাসন) মো: আরিফুল হাসান মজুমদারের যৌথ সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সেরা করদাতা মো: রুহুল আমীন ভূইয়া বকুল। তিনি বলেন,
আমরা করদাতারা সরকারের উন্নয়নের অংশীদার। আমরা কোটি কোটি টাকার ট্যাক্স
প্রদান করি। আমরা যারা আয়কর প্রদান করি তাদের যাতে কোনভাবেই হয়রানি করা না
হয় সেদিকে কর্মকর্তাদের খেয়াল রাখার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। তিনি আরো
বলেন, এক সময় মানুষ আয়কর দিতে ভয় পেতেন জামেলার কারণে। এখন
স্বত:স্ফূর্তভাবে জনগন ট্যাক্স দিতে এগিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে আমরা আরো ট্যাক্স
বাড়িয়ে দিবো।
কর অঞ্চল কুমিল্লার কর কমিশনার মো: মাহবুবুর রহমান বলেন,
দেশের ৮০টি উপজেলায় কর অফিস স্থাপিত হয়েছে। কর অঞ্চল কুমিল্লার নয়টি
উপজেলাতেও কর অফিস স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি উপজেলায়
আয়কর অফিস স্থাপন করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আয়কর প্রদান করা এখন অনেক সহজ। করদাতারা যাতে সহজে কর দিতে
পারেন সেজন্য রাজস্ব বোর্ড নানা পদপে গ্রহণ করেছে। তিনি আরো বলেন,
করদাতাদের জন্য এখন কর মেলার আয়োজন করা হয়। এবছরও মেলার পরিবেশে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে রিটার্ন গ্রহণ করা হয়েছে। করদাতাদের সেবার জন্য কর
কর্মকর্তাদের দরজা সবার জন্য খোলা। তাছাড়া, এখন ফেইসবুক, ওয়েবসাইট ও
ফেইসবুক পেইজে গিয়েও করদাতারা তাদের অভিযোগ ও পরামর্শ জানাতে পারেন।