অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রকৌশলীকে মারধর, ঠিকাদারসহ আটক ৩
Published : Saturday, 13 February, 2021 at 12:00 AM
ফেনীতে
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের টিউবওয়েল স্থাপনে নিম্মমানের কাজের
প্রতিবাদ করায় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে মারধর করেছে ঠিকাদার ও তার
সহযোগীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের ঘটনায় ঠিকাদারসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আহত উপসহকারী প্রকৌশলী সমেশ আলী ফেনী মডেল থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়, ফেনী সদর উপজেলা ভূমি অফিসে টিউবয়েল স্থাপনের কাজ পায়
ঠিকাদার হুমায়ুন কবীর। কাজ নি¤œমানের হওয়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তা
পরিদর্শন করেন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সমেশ আলী।
এ সময় সমেশ আলী ঠিকাদার
হুমায়ূনকে কাজের গুনগতমান বজার রাখতে নির্দেশনা দেন। ঠিকাদার ও জনস্বাস্থ্য
কর্মকর্তার সঙ্গে বাকবিত-ার একপর্যায়ে হুমায়ূন ও তার লোকজন প্রকৌশলীকে
মারধর শুরু করে।
পরে ভূমি অফিসের লোকজন এগিয়ে এসে ঠিকাদার হুয়ায়ুন কবির,
জিলানী ও দেলোয়ারকে আটক করে পুলিশে দেয়। তবে আইয়ুব মিস্ত্রি নামে একজন
পালিয়ে যায়। আহত সমেশ আলীকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
উপসহকারী
প্রকৌশলী মো. সমেশ আলী বলেন, ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৫০টি
টিউবওয়েল স্থাপনের টেন্ডার পায় হুমায়ুন কবীর। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ফেনী
সদর ভূমি অফিসে টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ শুরু করে হুমায়ুন। কিন্তু
নিম্মমানের কাজের প্রতিবাদ করলে প্রথমে হুমায়ুন মারধর শুরু করে। পরে তার
সহযোগীরা মারধর করে। হুমায়ুন যতগুলো টিউবয়েল স্থাপন করেছে সবগুলো
নিম্মমানের।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠিকাদারের এক সহযোগী জানান,
উপজেলা কর্মকর্তা সমেশ আলীকে প্রতিটি টিউবওয়েলের জন্য ১০ হাজার টাকা করে
ঘুষ দিতে হয়। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় তিনি নলকূপ বসানোর স্থানে এসে তাৎক্ষণিক
টাকা দাবি করেন। ঘুষের টাকা নিয়েই মূলত জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের
মাঝে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বড় অঙ্কের ঘুষ দিতে হয় বলে কাজের মান
সঠিক রাখা সম্ভব হয় না বলে স্বীকার করেন এ ব্যক্তি।
ফেনী মডেল থানার
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
হয়েছে। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ফেনী
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন রায়হান জানান, মারধরের ঘটনায়
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।