মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চলা বিক্ষোভ দমনে আরও খড়গহস্ত হচ্ছে জান্তা সরকার। সড়কে সড়কে সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে। গুলি চালানো হচ্ছে বিক্ষোভ দমনে।
এদিকে গণবিক্ষোভ দমনে শনিবার রাত থেকেই সামরিক জান্তা আমলের একটি আইন পুনরায় জারি করা হয়েছে।
ওই আইন অনুযায়ী, রাতে বাড়িতে কোনো অতিথি এলে কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে। ওই আইনের বলে নিরাপত্তা বাহিনী আদালতের অনুমতি ছাড়াই সন্দেহভাজন যে কাউকে গ্রেফতার ও নাগরিকদের বাড়ি তল্লাশি করতে পারবে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতার দখল নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। যার বিরুদ্ধে টানা ১০ দিন ধরে গণবিক্ষোভ চলছে।
রোববার উত্তরের রাজ্য কোচিতে একটি পাওয়ার প্ল্যান্টে সেনা মোতায়েন করার পর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা ছিল, সেনাবাহিনী নগরী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পাওয়ার প্ল্যান্টের দখল নিয়েছে।
ফেসবুক লাইভে দেখা যায়, কোচির রাজধানী মিতকিনা নগরীতে একটি পাওয়ার প্ল্যান্টের বাইরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুড়ছে। তবে তারা তাজা গুলি নাকি রাবার বুলেট ছুড়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে সোমবার ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কয়েকটি শহরে ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী। তারা বিক্ষোভ দমনে তৎপর। বিক্ষোভকারীরা টান ১০ দিনের মতো বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
অপরদিকে মিয়ানমারের এনএলডি নেত্রী অং সান সু চিকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অর্থাৎ সু চির আটকাদেশ বাড়ছে।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয় ১ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে। আর ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক জেনারেল ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়েকে।
৮ নভেম্বর দেশটির জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল জয়ী হয়। সেনাবাহিনী সেই জয় মেনে নিতে পারে নি।