ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
সু চির রিমান্ডের মেয়াদ ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
Published : Monday, 15 February, 2021 at 12:58 PM
সু চির রিমান্ডের মেয়াদ ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্তমিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির রিমান্ডের মেয়াদ প্রাথমিকভাবে সোমবার পর্যন্ত ধারণা করা হলেও তা বুধবার পর্যন্ত বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
রাজধানী নেপিডোতে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সোমবার সু চির রিমান্ড শেষ হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু তার আইনজীবী খিন মুং জ গণমাধ্যমকে জানান, রাজধানী নেপিডোর একটি আদালতের একজন বিচারক জানিয়েছেন, তার রিমান্ডের মেয়াদ ১৭ তারিখ পর্যন্ত।  

রিমান্ড শেষে শুনানির জন্য সোমবার সু চিকে আদালতে হাজির করা হবে বলে এর আগে ধারণা করা হচ্ছিল।

তার আইনজীবী বলেন, “আমরা আমাদের পাওয়ার অব অ্যাটর্নির চিঠি দিতে এবং জেলা জজের সঙ্গে আলোচনা করতে এখানে এসেছি। তার বক্তব্য অনুযায়ী, রিমান্ডের মেয়াদ ১৭ তারিখ পর্যন্ত, আজ না।”

সু চির আইনজীবী দলের একজন সদস্য জানিয়েছেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারক সু চির সঙ্গে কথা বলেছেন, তিনি একজন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন কিনা তা বিচারককে জিজ্ঞেস করেছেন সু চি।

আইন অনুসারেই তিনি সু চির সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। আদালতে সু চির প্রাথমিক উপস্থিত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিচারপ্রক্রিয়া নিরপেক্ষ হবে কিনা রয়টার্সের সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটি নিরপেক্ষ হবে কি হবে না, সে সিদ্ধান্ত আপনি নিজেই নিতে পারেন।”

দুই সপ্তাহ আগে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এএলডি) দলকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সামরিক বাহিনী। নেত্রী সু চিসহ এনএলএডির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে আটকাদেশ দেওয়া হয়।

সু চির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ছয়টি ওয়াকিটকি আমদানির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তার রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এর আগে সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল। এরপর গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বড় ধরনের জয় পায় দলটি। কিন্তু এবার সামরিক বাহিনী এ জয়ের স্বীকৃতি না দিয়ে নির্বাচনে বড় ধরনের কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে।

দেশটির নির্বাচনে কমিশন কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও একেই অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।

সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল ও জনপ্রিয় নেত্রী সু চিকে আটক করায় মিয়ানমার এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রত্যক্ষ করে। হাজার হাজার প্রতিবাদকারী রাজধানী নেপিডো ও বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনসহ বিভিন্ন শহরে জড়ো হয়ে সামরিক শাসনের অবসান ও সু চির মুক্তি দাবি করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।    

এ পরিস্থিতিতে অভ্যুত্থানের দুই সপ্তাহ পর সামরিক জান্তা দেশটির প্রধান শহরগুলোতে সাঁজোয়া যান মোতায়েন করেছে।