ব্রাজিলিয়ান এবং আর্জেন্টাইন জোড়া হ্যাট্রিকে আরামবাগকে গোল বন্যায় ভাসালো বসুন্ধরা কিংস। আরামবাগের হতাশার বোঝা ভারী করতে একটুও কার্পণ্য করেনি কিংস ফরোয়ার্ড রবিনিয়ো এবং রাউল বেসেরা। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ৬-১ গোলে জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। নয় ম্যাচে আট জয় ও এক ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে অস্কার ব্রুসনের দল। টানা আট ম্যাচ হারা দলটি এখনও খুলতে পারেনি পয়েন্টের খাতা। লিগ টেবিলেও আছে তলানিতে। গত ম্যাচে শেখ জামালের সাথে ড্র করার পর বসুন্ধরা জয়েরা ধারা থেকে ছিটকে গেলেও আজ এক ম্যাচে ৬ গোলের প্লাবনে তারা আবার ফিরলো জয়ের ধারায়।
বসুন্ধরা কিংস ৩ মিনিটে নিজেদের প্রথম আক্রমণ থেকেই এগিয়ে যায়। ডান দিকের বাইলাইন থেকে তৌহিদুল আলম সবুজের ক্রসে বেসেরার হেড চোখের পলকে জাল খুঁজে নেয়।
আরামবাগ সমতায় ফিরে ১৬ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে কিছুটা এগিয়ে আরাফাত মিয়া পাস বাড়ান বাঁ দিকে থাকা নিহাত জামান উচ্ছ্বাসের উদ্দেশে। ডি-বক্সে ঢুকে উচ্ছ্বাসের নিখুঁত শট ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে বোকা বানিয়ে জাল খুঁজে পায়।
৩২ মিনিটে জোনাথন ফের্নান্দেসের ক্রসে এক ডিফেন্ডার হেড করার পর পেয়ে যান রবিনিয়ো। কোণাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
৪২ মিনিটে প্রায় একই শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রবিনিয়ো। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে পরাস্ত করেন গোলরক্ষক আপেল মাহমুদকে।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন গোলে নিশ্চিত হয় বসুন্ধরা কিংসের বিশাল জয়। ৬৫ মিনিটে রিমন হোসেনের ক্রসে খালিদ শাফিই ফ্লিক করার চেষ্টা করে পারেননি। তার পেছনে থাকা রাউল বেসেরা সুযোগ হাতছাড়া করেনি। ব্যবধান বাড়ে আরো। ৭৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বেসেরা। বক্সে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভূত এই চিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তিন মিনিট পর হ্যাটট্রিক পূরণ হয় রবিনিয়োর। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে এক ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।