সুনামগঞ্জের ‘ভুয়া সনদের ভিত্তিতে’ বাংলাদেশি দুই যুবকের সাথে বিয়ে হওয়া দুই রোহিঙ্গা নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বাগলী শুল্ক স্টেশন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, সুফায়রা (২০), রুবিনা (১৮) এবং শাফায়েত (২১)। এছাড়া ওই দুই রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করা ফারুক মিয়া (৩৫) এবং তার ছোট ভাই মোবারক মিয়া (৩২)। ফারুক তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বীরেন্দ্রনগরের ইন্দ্রপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, আটক তিন রোহিঙ্গাসহ পাঁচজনকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
“দুই রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে ছয় মাস এবং চার মাস বয়সী দুই শিশুকেও পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইন্দ্রপুর গ্রামের ফারুক মিয়া ভুয়া জন্ম এবং নাগরিক সনদ তৈরি করে তিন বছর আগে আটক সুফায়রাকে গোপনে বিয়ে করেন।
এর ছয় মাস পর ফারুক তার ছোট ভাই মোবারকেও সুফায়রার খালাতো বোন রুবিনার সাথে একই কৌশল অবলম্বন করে বিয়ে দেন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ওই দুই রোহিঙ্গা নারীর ভাইপো মোহাম্মদ শাফায়াত চট্রগ্রাম থেকে বাগলী এলাকায় আসলে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে।
পরে রোহিঙ্গা শরণার্থী মোহাম্মদ শাফায়াতকে জিজ্ঞসাবাদ করে মূল ঘটনা জেনে তাকে আটক করে রাখে স্থানীয়রা। বিষয়টি তাহিরপুর থানায় জানায় স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সুফায়রা, রুবিনা ও শাফায়েতকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।