Published : Wednesday, 24 February, 2021 at 12:00 AM, Update: 24.02.2021 12:52:34 AM
মোঃ হুমায়ুন কবির মানিক, মনোহরগঞ্জ ||
যৌতুক
না পেয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে এক গৃহবধূর ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়ে ও
পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূর নাম তৃষ্ণা রানী। তিনি
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া গ্রামের ফার্নিচার মিস্ত্রি মিঠু
সাহার একমাত্র কন্যা। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীসহ শ^শুরবাড়ির লোকজনের
বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
গত সোমবার নিহত গৃহবধূর পিতা মিঠু
সাহা বাদী হয়ে সোনাইমুড়ি থানায় তার মেয়ের স্বামী সমর দাশ (২৫), শ্বশুর
নিত্যানন্দ দাশ (৬৫), শাশুড়ি গায়েত্রী রানি দাশ (৫৮), ভাসুর বিশ্বজিৎ দাশ
(৩০), ননদ পুজা দাশ (৩৫), লক্ষ্মী রানী দাশসহ (২০) আরো ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা
আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, সোনাইমুড়ি থানার
নাওতলা মালিবাড়িনিবাসী নিত্যানন্দ দাশের ছেলে সমর দাশের সাথে ৮ মাস আগে
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের নাথেরপেটুয়া গ্রামের
ফার্নিচার মিস্ত্রি মিঠু সাহার একমাত্র কন্যা তৃষ্ণা রানীর পারিবারিকভাবে
বিয়ে হয়। কিন্তু অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদের দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে
যৌতুকের কালো থাবা। বেশ কয়েকবার যৌতুকের জন্য তৃষ্ণা রানীকে স্বামী ও
শ^শুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন চালায়। এমনকি গত ২১ জানুয়ারি ৩ মাসের
অন্তঃসত্ত্বা তৃষ্ণা রানিকে লাথি মেরে তার পেটের সন্তান নষ্ট করে দেয়
শ^শুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনার পর দরিদ্র মিঠু সাহা মেয়ের সুখের জন্য সাধ্য
অনুযায়ী যৌতুক দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া বিয়ের আগে-পরে
জামাইয়ের আবদার মেটাতে দরিদ্র মিঠু সাহাকে হাত পাততে হয়েছিল সমাজের
বিত্তবানদের কাছে। এরই মধ্যে তৃষ্ণার স্বামী, শ^শুররা আরো ২ লাখ টাকা যৌতুক
চাইলে সেটা দিতে অপারগতা জানান মিঠু সাহা। যৌতুক না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে
স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজন মিলে গত রবিবার ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বর্বরভাবে
নির্যাতন চালিয়ে ও পায়ের রগ কেটে তৃষ্ণা রানীকে হত্যা করে বলে মামলার
এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এামলা দায়ের হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহত গৃহবধূর স্বামীসহ ৫ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।
হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহত তৃষ্ণা রানীর পরিবারের সদস্যরা।