সোনাকান্দা দরবার শরীফে ইছালে ছাওয়াব মাহফিল শুরু
Published : Sunday, 28 February, 2021 at 12:00 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর||
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফের ঐতিহাসিক দুইদিন ব্যাপী ইছালে ছাওয়াব মাহ্ফিল শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার বাদ জোহর কোরআন তেলাওয়াত, হামদ্, নাতে রাসুল (সা.) পরিবেশনের পর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে বার্ষিক ইছালে ছাওয়াবের মাহফিল আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন দরবার শরীফের পীর ও বাংলাদেশ তা’লিমে হিযবুলাহ’র আমীর অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মাহমুদুর রহমান।
বাদ মাগরিব ঐতিহাসিক সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফের পীর অধ্যক্ষ আলহাজ¦ মাওলানা মাহমুদুর রহমান কর্তৃক পেশকৃত চার তরিকার গুরত্বপূর্ণ জিকিরের তালীম ও তাহাজ্জু প্রদান করেন। এতে সারা দেশ থেকে আগত লক্ষ লক্ষ আশিকীন, যাকেরীন, মুহিব্বীন ও খলিফাবৃন্দসহ দেশ-বিদেশের অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম, পীর-মাশায়েখগণ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ তা’লিমে হিযবুল্লাহ’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল হাদিস মাওলানা মোতালেব হোসাইন সালেহীর উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য রাখেন সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফের খলিফা আবুবকর সিদ্দিক প্রমুখ।
ঐতিহাসিক এ দুইদিন ব্যাপী ইছালে ছাওয়াব মাহফিলকে কেন্দ্র করে দরবার শরীফের পক্ষ থেকে অসংখ্য তোরণ, বিশাল পেন্ডেল ও স্টেইজ ছাড়াও আগত মেহমানদের ফ্রি মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাকরণ ও স্বাস্থ্য সেবা, থাকা, খাওয়া, অজু, গোছল, টয়লেট ও গাড়ী পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নবীপুর-শ্রীকাইল ও কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সড়কের মেটংঘর থেকে শ্রীকাইল পর্যন্ত রাস্তাটি যানযট মুক্ত রাখতে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, চিকিৎসা সেবার জন্য ফ্রি ক্যাম্প, সাংবাদিকদের জন্য তথ্য কেন্দ্র, মাদরাসা ময়দান এবং প্রবেশ রাস্তাকে আগের চেয়ে অনেকাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুরো মাহফিলকে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরাসহ স্থানীয় প্রশাসন ও মাদরাসার একদল প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চৌকস ছাত্রবৃন্দ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে। ১ম দিনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনসাধারণ সমবেত হয়েছেন। এ মাহফিলকে কেন্দ্র করে আশ-পাশের এলাকাগুলো ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আনন্দঘন পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে।
আজ (রোববার) মাহফিলে দেশ-বিদেশের বরেণ্য পীর-মাশায়েখগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দসহ লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দের সমাগম হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কাল (সোমবার) বাদ ফজর তালিম, যিকির-আযকার ছওয়াব রেছানি শেষে বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দুইদিন ব্যাপী বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব মাহফিল শেষ হবে।