ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা ও যুবলীগ নেতার লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার ও ধামসোনা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ইউপি সদস্য সাদেক ভূঁইয়ার লোকজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুরাতন ইপিজেডের এক্সপেরিয়েন্স ক্লথিং লিমিডেট নামে কারখানায় আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার ঝুট ব্যবসা করে আসছিলেন। তবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ধামসোনা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার সাদেক ভূঁইয়ার ছেলে মনির হোসেন ব্যবসায়িক চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেন। এ খবর পেয়ে কবির হোসেন ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেলে ৫০-৬০ জন কর্মী নিয়ে ডিইপিজেডের সামনে মহড়া দেন। এ সময় সাদেক ভূঁইয়ার ছেলে মনির হোসেনের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের শাহিন ও সোহেলসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় ৫-৭টি মোটরসাইকেল। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের ছেলে থানায় অভিযোগ করতে এলে তাকে আটক করা হয়।
আটক হওয়ার আগে মনির হোসেন দাবি করেন, সকালে ইপিজেড এলাকার সামনে যুবলীগের নেতারা তার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা একপর্যায়ে ভাদাইল এলাকায় তার বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় হামলা থেকে বাঁচতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে ডাকা হলে হামলাকারীরা মোটরসাইকেল ফেলে পলিয়ে যায়। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, যুবলীগের লোকজন মোটরসাইকেলে মহড়া দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পথে অতর্কিতভাবে একদল যুবক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। জীবন বাঁচাতে মোটরসাইকেল আরোহীরা দৌড়ে পালান।
এ বিষয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাজী আবু সাদেক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার ছেলে মনির পুরাতন ইপিজেডের ভেতরে এক্সপেরিয়েন্স কারখানায় ঝুটের ব্যবসা করে। এই ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব।’
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, ‘আমি দীঘদিন ধরে এই কারখানার ঝুট বিক্রি করে আসছি। মঙ্গলবার কারখানার মালামাল নামাতে গেলে মেম্বারের লোকজন আমার ছেলেদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। আমি বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছি।’
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলগুলো পিক-আপ ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’