সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর জেদ্দার একটি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বাহিনী।
বৃহস্পতিবার হুতি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র এক টুইটার পোস্টে এ দাবি করেছেন, তবে তাৎক্ষণিকভাবে সৌদি কর্তৃপক্ষ হুতিদের এ দাবি প্রসঙ্গে কিছু বলেনি; জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি সৌদি আরামকো।
হুতিদের সঙ্গে ছয় বছর ধরে লড়াইরত সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের মুখপাত্রও রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
হুতি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া এক টুইটার পোস্টে জানিয়েছেন, ভোরে পাখাওয়ালা একটি ড্রোন দিয়ে হামলাটি চালানো হয় এবং সেটি লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।
তবে সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন যেটিকে জেদ্দার পেট্রলিয়াম পণ্যের বিতরণ প্ল্যান্ট বলে মনে হয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। অভ্যন্তরীণ সরবরাহের জন্য এ প্ল্যান্টটি ব্যবহার করা হয়।
এর আগে নভেম্বর, ২০২০ এ একই স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল হুতিরা। তখন আরামকো জানিয়েছিল, ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি স্টোরেজ ট্যাংকে আঘাত হেনেছে আর এতে সরবরাহে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে সৌদি জোট বাহিনীর বরাত দিয়ে জানানো হয়, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খামিস মুশায়িত লক্ষ্য করে পাঠানো একটি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ড্রোন জোট বাহিনী ধ্বংস করেছে।
টুইটারে পৃথক আরেকটি পোস্টে হুতি মুখপাত্র সারেয়া জানিয়েছেন, খামিস মুশায়িতে একটি সামরিক স্থাপনায় হামলার জন্য ড্রোনটি পাঠানো হয়েছিল।
সৌদি আরামকোর উৎপাদন ও রপ্তানি সংক্রান্ত স্থাপনাগুলোর বেশিরভাগই সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে অবস্থিত, যেটি জেদ্দা থেকে এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে।
২০১৯ সালে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এ তেল কোম্পানির কেন্দ্রস্থলের দুটি প্লান্টে হুতিদের ড্রোন হামলার কারণে সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল।