স্প্যাম তৎপরতায় জড়িত কয়েক হাজার অ্যাকাউন্টের তদন্ত ও সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে খুদে ব্লগ টুইটার। সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বছর দুয়েক আগে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামনিস্ট খাশোগিকে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের গুপ্তচররা হত্যা করলে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়া শুরু হয়।
টুইটারের মুখপাত্র সারাহ হার্টে বলেন, প্রায় সাড়ে তিন হাজার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, খাশোগি হত্যাকাণ্ডের মার্কিন প্রতিবেদন নিয়ে স্প্যামের মতো তৎপরতা কিংবা নিজের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থে কেউ এই প্ল্যাটফরমকে কাজে লাগাতে চাইলে আমাদের অভ্যন্তরীণ টিম তা তদন্ত করে অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে দিচ্ছে।
দোহার হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ও সামাজিকমাধ্যম বিশ্লেষক মার্ক ওইন জোনেস বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের দিন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচনা লাগবে বেশ কিছুসংখ্যক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে।
‘এতে খাশোগিকে নিয়ে আরবিতে যারা সত্যিকারের আলোচনায় অংশ নিতে চেয়েছেন, এই হ্যাশট্যাগের কারণে তাদের জন্য টুইটার ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। এই ঘটনাকেন্দ্রিক কোনো কিওয়ার্ড সার্চ দিলেই তাতে স্প্যাম ও ভুল তথ্যে ভরে যেত। যুবরাজের বিরুদ্ধে সমালোচনা মিলিয়ে দিতে টুইটারজুড়ে তার প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
জোনেস বলেন, টুইটারের স্প্যামনীতি লঙ্ঘনের কারণে যাতে ব্লক খেতে না হয়, সে কারণে খাশোগির নামের ভুল বানান ব্যবহার করা হয়েছে।