Published : Friday, 5 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 05.03.2021 12:31:53 AM
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের মহিলা প্যানেল চেয়ারম্যান সালমা আক্তার বিউটি ও তাঁর স্বামী প্রভাষক মোঃ ইসমাইল খোকন এর বিরুদ্ধে সহোদর ভাইদের অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য জেলা পরিষদ (মহিলা) প্যানেল চেয়ারম্যান সালমা আক্তার বিউটি বলেন, আমি সালমা আক্তার বিউটি, ব্যক্তিগত জীবনে একজন শিক, রাজনৈতিক কর্মী এবং সর্বোপরি একজন সফল মা। গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় আমাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে আমি আমার নিজের ব্যক্তিগত পরিচয় সংপ্তি আকারে তুলে না ধরে পারছিনা। আমার শিা জীবন এমএ, বিএডসহ এমএড। আমি স্বনামধন্য কুমিল্লার বেলতলী হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক। দীর্ঘ ১৭ বছরের শিকতা জীবন আমার। এর পাশাপাশি একজন রাজনৈতিক কর্মী। আমি বর্তমান কুমিল্লা দণি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক, সু-দীর্ঘ ২০ বছরের রাজনৈতিক জীবন আমার।
আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন মজুমদার দীর্ঘ ৫০ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহভাজন এবং কুমিল্লা সরকারি কলেজের ১৯৭৩ সালের প্রথম নির্বাচিত সংসদ ভিপি।
গত ০৩/০৩/২০২১ইং আমাকে জড়িয়ে আমার পরিবারের কতিপয় সদস্য আমার ব্যক্তিগত ও পরিবারিক সাফল্যে প্রতি হিংসার বশবর্তী হয়ে আমার রাজনৈতিক অর্জনে কালিমা লেপনের উদ্দেশ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে বিভিন্ন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে কতগুলো উদ্ভট, অসত্য, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমি ও আমার পরিবার উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি আজ এখানে উপস্থিত সকল সাংবাদিক ভাইদের সামনে এক এক করে প্রকাশিত মিথ্যা অভিযোগ গুলোর জবাব উপস্থাপন করবো। আমার স্বামী মো: ইসমাইল খোকন কুমিল্লাস্থ বরুড়া উপজেলার আগানগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একজন সফল প্রভাষক। আমার পরিবারে চার সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান কুমিল্লা জিলা স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র। প্রতিটি পরিবারেই কিছু না কিছু পারিবারিক সমস্যা থাকে। আমি কখনোই চাইনি আজ এসব বিষয় গুলো নিয়ে আপনাদের মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের আর্থসামাজিক প্রোপটে প্রতিটা নারীই বঞ্চনার শিকার। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আমার বিয়ে হয়েছে আজ ১৯ বছর। এই সময়টায় আমি আমার শাশুড়ি, দেবর, ভাসুর এবং ননদদের কাছ থেকে হেন কোন অমানুষিক নির্যাতন নেই যে আমি ভোগ করিনি।
আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো উত্থাপন করা হয়েছে বাস্তবতা হচ্ছে সম্পূন্ন তার বিপরীত। অভিযোগ কারীগণ আমার স্বামীর সমস্ত পৈর্তৃক সম্পদ, জায়গা জমি কুক্ষিগত করে রেখেছেন। তারাই ফলজ গাছ কর্তন করে ও পুকুরের মাছ ধরে চলাচলের রাস্তা কেটে পারিবারিক নির্যাতন করেই চলছেন।
অপরদিকে আমার স্বামী ইসমাইল খোকন তার জীবনের যত অর্জন পুরুটাই তার নিজের প্রচেষ্টায়। পরিবার থেকে পেয়েছে শূধুই লাঞ্চনা আর বঞ্চনা। তার ছয় ভাই বোনের মধ্যে একমাত্র সেই এম.এ পাশ এবং চাকুরীজীবী। তার এই সুপথে চলা তার অন্য ভাইবোন রা কখনো পছন্দ করেনি। ছোটবেলা থেকেই তারা সবসময় চাইতো সে যেন পরিবারের জমিজমা দেখ ভাল করেই সময় কাটায়। আমার বিয়ের পর থেকে তাকে দেখেছি সে একই সাথে নিজের পরিবার এবং নিজ পিতা-মাতাসহ সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নিজ দায়িত্ব পালন করছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি হলফ করে বলতে পারি আমি সমাজের সাধারণ মানুষের উপকার ছাড়া কখনো তি করিনি। যে অভিযোগ গুলো করা হয়েছে তার সপে কি তারা একটি প্রমাণ ও উপস্থাপন করতে পেরেছে?
আপনারা ভালো করেই জানেন আমার সু-দীর্ঘ প্রচেষ্টায় তিল তিল করে গড়ে তোলা আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। আমার এই অর্জনকে ধ্বংস করার জন্যেই আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় ষড়যন্ত্র মূলক ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আমার ও আমাদের পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।