Published : Friday, 5 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 05.03.2021 12:31:59 AM
মোঃ হুমায়ুন কবির মানিক।।
‘মুজিববর্ষের অঙ্গিকার, পুলিশ হবে জনতার’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধের ল্েয পুলিশ-জনতার রাত্রিকালীন যৌথ পাহারার কার্যক্রম চলছে। সম্প্রতি চুরি-ডাকাতি প্রতিরাধের ল্েয সমগ্র কুমিল্লায় পুলিশ-জনতার রাত্রিকালীন যৌথ পাহারার উদ্যোগ নেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। এরই ধারাবাহিকতায় গত দু’ সপ্তাহ যাবৎ প্রতি রাতে মনোহরগঞ্জের প্রত্যেক এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পুলিশের সাথে লাঠি-বাঁশি নিয়ে এ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
গভীর রাতে পুলিশ কর্মকর্তারা জনতাকে উৎসাহ দিতে এলাকায় এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বুধবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাতে কুমিল্লা জেলা পুলিশের লাকসাম-মনোহরগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মহিতুল ইসলামের নেতৃত্বে মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকায় এ পাহারা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুবুল কবির জানান, বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার মৈশাতুয়া, খিলা, ঝলম দণি, ঝলম উত্তর, হাসনাবাদ, বাইশগাঁও, লণপুর, বিপুলাসার ও নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তারা টহল দিয়েছেন। এ সময় নাথেরপেটুয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল, এসআই নুরুল আলম, মনোহরগঞ্জ থানার এসআই রাজু আহমেদ সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবী, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করে আমরা প্রত্যেক এলাকার সমাজকর্মীদেরকে এই পাহারায় যুক্ত করেছি এবং তাদের জন্য রিফেক্টিভ ড্রেস, লাঠি, বাঁশিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ও নাস্তার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’
কুমিল্লা জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মহিতুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ মহোদয়ের নেতৃত্বে চুরি-ডাকাতি রোধে গত দু’ সপ্তাহ যাবৎ আমরা প্রতি রাতে এই কর্মসূচি পালন করছি। এতে চুরি-ডাকাতি কমার পাশাপাশি পুলিশ ও জনতার পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছে।’
কুমিল্লা জেলা পুলিশের এ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মনোহরগঞ্জের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। অপরাধ দমনে পুলিশ-জনতার যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে সমাজের সকল স্তরে অপরাধীদের মূলোৎপাটন হবে বলে তারা মনে করেন।