Published : Tuesday, 9 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 09.03.2021 1:07:06 AM
রণবীর
ঘোষ কিংকর: বিক্রেতারা কাগজের প্যাকেটে পণ্য বিক্রি করে আসছে বহু বছর
যাবৎ। পণ্য প্যাকেটিং এ বর্তমানে নিষিদ্ধ পলিথিন হরহামেশা চললেও অসাধু
বিক্রেতাদের কাছে কাগজের প্যাকেটের চাহিদা বেশ।
কাগজের প্যাকেটের তলায়
ভারী মলাট লাগিয়ে প্রতারণার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয় ওইসব প্যাকেট। ২০
টাকা কেজি মূল্যে কাগজের প্যাকেটিং ৩০-৫০ টাকা কেজিতে কিনে আনছে অসাধু
বিক্রেতারা। আর ওই প্যাকেট পণ্যের সাথে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩শ টাকা কেজি
দামে!
এমন প্যাকেটে পণ্য কিনে প্রতিনিয়তই ধোকা খাচ্ছে হাজার হাজার
ক্রেতা। ক্রেতারা প্রতিবাদ করলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে হতে হচ্ছে
হেনস্থা। কুমিল্লার চান্দিনা বাজারসহ আশ-পাশের বাজারগুলোতে এমন অবস্থা
চললেও যেন দেখার কেউ নেই!
কুমিল্লার চান্দিনার স্কুল শিক্ষক রফিকুল
ইসলাম। সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে চান্দিনা বাজার থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে ৫শ
গ্রাম আঙ্গুর ফল কিনেন। বাড়ি গিয়ে দেখেন যে কাগজের প্যাকেটে আঙ্গুর ফল
এনেছেন ওই প্যাকেটের ওজন ১শ গ্রাম আর আঙ্গুর ফল পেলেন ৪শ গ্রাম।
তিনি
বলেন- ৫শ গ্রাম আঙ্গুর ফলের সাথে ১শ গ্রাম কাগজের প্যাকেট। সেই হিসাব
মোতাবেক প্রতি কেজি আঙ্গুর ফলে ২শ গ্রাম কাগজের প্যাকেট দিচ্ছে প্রতারক
বিক্রেতরা। আর ২শ গ্রাম কাগজের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকায়।
ক্ষুদ্র
ব্যবসায়ী হরে কৃষ্ণ নাহা। রবিবার বাজার থেকে ২৮০টাকা কেজি দামে ১কেজি আনার
কিনেন। একই ভাবে ওই প্যাকেটটির ওজন ৯০ গ্রাম। আনার ফলের দাম হিসেবে ওই
প্যাকেটের দাম ধরা হয়েছে ২৭ টাকা!
তিনি বলেন- বিক্রেতারা ৪০ টাকা কেজি
মূল্যের কাগজের কিনে ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছে। আমরা যারা
ক্রেতা প্রতিনিয়তই ওই প্রতারক বিক্রেতাদের কাছে প্রতারিত হচ্ছি।
চান্দিনা
উপজেলা সদরের এক ক্রেতা আব্দুর রহমান। তিনি জানান- আমি ১কেজি আপেলে কিনে
বাসায় এনে দেখি প্যাকেটের ওজন ১শ গ্রাম। সাথে সাথে চান্দিনা মধ্য বাজারের
ফুটপাতে থাকা ফল বিক্রেতার কাছে নিয়ে গেলে সে আমার সাথে খারাপ আচরণ করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান- সম্প্রতি এমন অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।