আজ (বৃহস্পতিবার) আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের জাতীয় নির্বাচনের আগে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যেই তিনি এই সফরে যাচ্ছেন বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই ঐতিহাসিক সফরে যাচ্ছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে পুনরায় নেতানিয়াহু তার জয় নিয়ে বেশ আশাবাদী।
তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ চাপে আছেন নেতানিয়াহু। আরব আমিরাত সফরের মাধ্যমে তিনি বেশ কিছু সুবিধা আদায় করে নেবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি প্রচারমাধ্যম কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন নেতানিয়াহু। সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানও তাদের সঙ্গে এই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তবে সৌদির এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে ক্রাউন প্রিন্স সালমান ওই বৈঠকে থাকছেন না। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবু ধাবি বিমানবন্দরে নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানাবেন শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করে ইসরায়েল। এই তিন দেশের সঙ্গে ইরানের বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা একে অন্যের আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি হওয়া আরব দেশগুলো নিজেদের মধ্যে পর্যটন, সরাসরি বিমান চলাচল এবং দূতাবাস চালু করার বিষয়ে একমত হয়েছে। নেতানিয়াহু একদিনের সফরে আমিরাতে যাচ্ছেন বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হলেও তিনি তার এই সফরের পর বাহরাইনে যাবেন কীনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।
তবে এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে তার একদিনের সফরে বাহরাইনে যাওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে সেই সফর বাতিল করা হয়। অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিমান চলাচল, জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, স্বাস্থ্য, কৃষি এবং পানি সরবরাহসহ ১৫টি ক্ষেত্রে দু’দেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুমোদনে সম্মত হয়েছে। ইতোমধ্যেই আরব আমিরাত এবং ইসরায়েল একে অন্যের দেশে দূতাবাস চালু করেছে এবং নিজ নিজ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে।