ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
গাড়িতে চালকের আইডি কার্ড
ছিনতাই-রাহাজানি রোধে কুমিল্লা পুলিশের নতুন উদ্যোগ
Published : Thursday, 11 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 11.03.2021 1:56:06 AM
গাড়িতে চালকের আইডি কার্ডতানভীর দিপু ।।
বছরের শুরতেই কুমিল্লা নগরীতে হাঠাৎ করে বেড়ে যায় ছিনতাইয়ের ঘটনা। দিনে এবং রাতে সিএনজি অটোরিকশা ব্যবহার করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাই করে নেয়া হয় নগদ টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী। ছিনতাইকারী দল যাত্রীবেশে চালকের সহযোগিতায় একের পর এক এই অপরাধ কার্যক্রম চালাতে থাকে। ওইসব সিএনজি অটোরিকশা বা ইজিবাইকের লাইসেন্স প্লেট বা কোনো তথ্য-উপাত্ত না থাকায় পরে আবার তারা মিশে যাচ্ছে সাধারণ পরিবহনের স্্েরাতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ও থানায় লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে জেলা পুলিশের।  
অবশেষে পরিবহনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন এক পদ্ধতি গ্রহণ করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। লাইসেন্স প্লেটের পাশাপাশি যাত্রীদের সামনেই আলাদা একটি কার্ডে ঝুলানো হয়েছে চালকের নাম-পরিচয়, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ডের নম্বর এবং জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের ফোন নম্বর। এছাড়া প্রতিটি যানবাহনের সামনে চালক ও মালিকের মোবাইল নম্বর সম্বলিত স্টিকার সাঁটিয়ে দেয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকালে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা নগরীরতে চলাচলকারী শতাধিক সিএনজি অটোরিকশায় সচেতনতামূলক স্টিকার লাগানো হয়। এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ বলেন, ছিনতাই-চুরিরোধে এই ‘চালক পরিচিতি (আইডি) কার্ড’ সবচেয়ে বেশি কাজে দেবে। যাত্রীরা যদি সিএনজি অটোরিকশা বা ইজিবাইকে চলাচলের সময় চালক ও পরিবহনের পরিচয় জেনে রাখতে পারে, তাহলে যাত্রীদের কোনো বিপদ হলেও অপরাধীরা পার পাবে না। অপরাধী শনাক্ত ও শাস্তির আওতায় আনা সহজ হবে। পুলিশ সুপার বলেন, আশা করছি, এতে করে পরিবহনে অপরাধ কমে আসবে।’
সভায় জানানো হয়, কুমিল্লায় অন্তত ৮ হাজার লাইসেন্সসহ সিএনজি অটোরিকশা আছে। পর্যায়ক্রমে সব যানবাহনকে এর আওতায় আনা হবে। তবে বৈধ যানবাহানের পাশাপাশি অবৈধ যানবাহনগুলোকে দ্রুত এই ধরনের পরিচয়পত্রের আওতায় আনার দাবি যাত্রী ও চালকদের।
পুলিশের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া একাধিক চালাক জানান, যারা এই পরিচয়পত্র ব্যবহার করবে না তাদের যেন কোন স্ট্যান্ডে জায়গা না দেয়া হয়। যারা স্ট্যান্ড পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন, তাদের এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। আর সন্দেহ হলে যাত্রীরাও যেন পরিচয় কার্ড ছাড়া কোনো যানবাহনে না ওঠে।
কুমিল্লার কান্দিরপাড় থেকে পদুয়ার বাজার চলাচলকারী যাত্রী আনিসুর রহমান বলেন, এই পদ্ধতিটি বাধ্যতামূলক এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। বিশেষ কওে, রাতের বেলা পরিচয়পত্র ছাড়া কোনো যানবাহন ব্যবহার না করাই উচিত। তারপরও কোনো অপরাধ কর্মকা- ঘটলে এর জন্য সিএনজি স্ট্যান্ডের পরিচালনাকারীরা দায়ী থাকবেন।  
সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা গেলে কুমিল্লা জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ যানবাহনে অপরাধ কমাতে ভালো ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন কুমিল্লাবাসী।