প্লাস্টিক কাঁচামালের শুল্কহার কমিয়ে ৫% করার প্রস্তাব
Published : Monday, 15 March, 2021 at 12:00 AM
প্লাস্টিক পণ্য তৈরির বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিপিজিএমইএ।
রোববার সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব তুলেন বিপিজিএমইএ সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন।
আসছে বাজেটে স্থানীয় শিল্পের জন্য সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ চেয়ে তিনি বলেন, পাইপ, দরজা, চেয়ার, টেবিলসহ নানা ধরনের প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা দেশে-বিদেশে দিন দিন বাড়ছে। এ সুযোগে উৎপাদন খরচ কমাতে পারলে বিদেশে ব্যাপক রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
“কিন্তু এসব পণ্যের কাঁচামাল পিভিসি স্ট্যাবিলাইজার, স্টিয়ারিক এসিড, পলিথাইলিন ওয়াক্স এবং ট্রান্সফার পেপার সম্পূর্ণভাবে আমদানিনির্ভর। এসব কাঁচামালের আমদানি শুল্ক বিদ্যমান ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনলে রপ্তানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।”
এছাড়া স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় প্লাস্টিক বক্স, স্ন্যাক্স বক্স ও ব্যাগ, ট্রে, টেবিল ও রান্নাঘরে ব্যবহার্য বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্কসহ, অগ্রীম কর, সম্পূরর্ক শুল্ক আরো বাড়িয়ে আমদানি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব জানানো হয়।
এদিন বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খানের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নেন।
তৈরি পোশাক খাতের এই পশ্চাদসংযোগ শিল্প খাতকে বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হচ্ছে বিধায় এর উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করে বিজিএপিএমইএ।
পোশাক শিল্প খাতের মতো এই খাতেও কর্পোরেট করহার ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব রাখেন সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল কাদের।
এ খাতের জন্য অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে নগদে বা ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে পণ্য ক্রয়ে আয়কর প্রত্যাহারেরও প্রস্তাব করে সংগঠনটি।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিম বলেন, “দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিবান্ধব নীতি নিয়ে রাজস্ব আহরণ এনবিআরের দায়িত্ব। একদিকে রাজস্ব আহরণ, অন্যদিকে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা- এ দুইয়ের সমন্বয়ে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ যতটুকু সম্ভব আমরা করব।”
এনবিআর সদস্য আলমগীর হোসেন, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া ও মাসুদ সাদিক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নেন।