নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন ফেরত দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেলে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতের বিচারক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান শুনানি শেষে এখতিয়ার না থাকায় আবেদনটি ফেরত দেন। একইসঙ্গে বাদীকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন বিচারক।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. হারুনুর রশীদ হাওলাদার জানান, এই আদালতের এখতিয়ার না থাকায় বিকেলে শুনানি শেষে মামলার আবেদন ফেরত দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) নোয়াখালীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব উদ্দিন খাঁনের আদালতে মামলা করা হবে বলে জানান আইনজীবী হারুনুর রশীদ হাওলাদার।
মামলার বাদী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান আরা পারভীন স্বামী খিজির হায়াত খানকে মারধরের ঘটনায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলার আবেদন করেন।
অপরদিকে, উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মির্জা কাদেরের অনুসারী উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন পিটন বাদী হয়ে সোমবার (১৪ মার্চ) মামলার আবেদন করেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে করা মামলার আবেদন আদালত আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন।
গত (৯ মার্চ) আওমামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা ও আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় দুটি এজাহার করা হয়। কিন্তু থানার পুলিশ এজাহারগুলো মামলা হিসেবে না নেওয়ায় ওই দুইজন বাদী আদালতে মামলার আবেদন করেন।