বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন
Published : Thursday, 18 March, 2021 at 12:00 AM
শাহীন আলম, দেবিদ্বার।
দেবিদ্বারের এমপি রাজী ফখরুল বলেন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু। বাঙালির বহু বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সুদূরপ্রসারী বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামের নতুন একটি জাতিরাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন।
বুধবার (১৭ মার্চ) উপজেলা প্রশাসানের উদ্যোগে আয়োজিত ‘চেতনায় বঙ্গবন্ধু’ চত্ত্বরে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। এর আগে প্রধান অতিথি রাজী ফখরুল মুজিব শতবর্ষের বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশ নেন। র্যালিটি সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান পদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলায় যেয়ে শেষ হয়। র্যালির এক পর্যায়ে তিনি দেবিদ্বার সদরের নিউ মার্কেট থেকে উপজেলা চত্ত¦র পর্যন্ত পাকা সড়ক উদ্বোধন করেন।
ইউএনও রাকিব হাসানের সভাপতিত্বে রাজী ফখরুল আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবার এখনও দেশ ও জাতির জন্য করে যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নিয়ে একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজকে যদি দেবিদ্বারের উন্নয়নের কথা বলেন, আমি বলব, দেবিদ্বারের উন্নয়ন কেবলমাত্র আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই হয়েছে। নতুন শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু মুর্যাল, নতুন রাস্তা এগুলো শেখ হাসিনার উন্নয়ন । দেবিদ্বার আজ মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত। কিন্তু অনেকেই মনে করে তারা আবার ক্ষমতায় আসবে মাদক ছাড়বে সন্ত্রাসী করবে। আওয়ামীলীগ সরকার থাকতে আমি সংসদ সদস্য থাকতে তা কোনদিনও হতে দেব না। এ সোনার বাংলার বুকে সোনার দেবিদ্বার অবশ্যই থাকবে। যেসকল ছাত্রছাত্রীদের হাতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী তুলে দেয়া হয়েছে তাদেরকে মাঝে বঙ্গবন্ধুর জীবনী তুলে ধরুন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম আলী জিন্নাহের পরিচালনায় ইউএনও রাকিব হাসান বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তদানীন্তন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম। তাঁর বাবা শেখ লুৎফুর রহমান এবং মাতা সায়েরা খাতুন। চার বোন, দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তাঁর ডাক নাম ছিল খোকা। বঙ্গবন্ধু গ্রামীণসমাজের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আবেগ-অনুভূতি শিশুকাল থেকে গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। গ্রামের মাটি আর মানুষ তাঁকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করত। শৈশব থেকে তৎকালীন সমাজজীবনে তিনি জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও প্রজাপীড়ন দেখে চরমভাবে ব্যথিত হতেন। গ্রামের হিন্দু, মুসলমানদের সম্মিলিত সম্প্রীতির সামাজিক আবহে তিনি দীক্ষা পান অসাম্প্রদায়িক চেতনার। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য জীবনের ১৪টি বছর পাকিস্তানের কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে বন্দি থেকেছেন, দুইবার ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু আত্মমর্যাদা ও বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কখনো মাথানত করেননি, পরাভব মানেননি। আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ওমানী, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শেখ আবদুল আউয়াল,দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিরুজ্জামান মাস্টার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাজমা বেগম, দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.গিয়াস উদ্দিন, দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. আরিফুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আহমেদ কবীর, জেলা পরিষদ সদস্য মোসা শিরিন সুলতানা, প্রভাষক মো. সাইফুল ইসলাম শামীম,কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আবু কাউছার অনিক। পরে প্রধান অতিথি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন। এর আগে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর উপর কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও ছিন্নমুল শিশুদের নতুন কাপড় এবং খাবার বিতরণ করেন।