Published : Thursday, 18 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 18.03.2021 1:42:08 AM
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ‘সংগ্রাম সংগ্রাম সংগ্রাম/
চলবেই দিনরাত অবিরাম’- এ রকম অনেক উদ্দীপনামূলক গান টিভিতে প্রচারিত হচ্ছে
মার্চের উত্তাল দিনগুলোতে। সে ছিল আশ্চর্য এক জাগরণের কাল। সকল বাঙালির
চেতনা স্থির ছিল একটি মাত্র ল্যবিন্দুতে- যার নাম স্বাধীনতা। একাত্তরের
উত্তাল এই দিনে পাকিস্তানের উর্ধতন সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া
খান। খোদ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থান করে
নিশ্চিত হন এ অংশে কার্যত পাকিস্তানের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। বঙ্গবন্ধুর
অঙ্গুলি হেলনেই চলছে সবকিছু। স্বাধীনতার প্রশ্নে বীর বাঙালির অকুতোভয়
সংগ্রাম আর রণপ্রস্তুতিতে পাক প্রেসিডেন্টের বুঝতে বাকি থাকে না
পাকিস্তানের অখ-তা আর রা করা সম্ভব নয়।
তাই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনার
নামে সময়পেণের পথ নেই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার। প্রতিটি বৈঠকেই
বঙ্গবন্ধু বাঙালীর মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোসহীন। ফলে পাকি সামরিক
জান্তারা ভেতরে ভেতরে বাঙালী নিধনযজ্ঞ চালিয়ে স্বাধীনতার সংগ্রামকে ভ-ুুল
করার জঘন্য পরিকল্পনা আঁটতে থাকে। প্রতিদিনই পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সৈন্য ও
অস্ত্র-গোলাবারুদ মজুদ করা হয় বাংলাদেশে।
একাত্তরের ১৭ মার্চ ছিল
বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫২তম জন্মদিন
উপলক্ষ্যে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সমাজের সর্বস্তরের মানুষ মিছিল করে
ধানম-ির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবনে গিয়ে তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে জন্মদিনের
শুভেচ্ছা জানান। সেদিন দুপুরে ধানম-ির বাসভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসা
স্বাধীনতাকামী বাঙালির উদ্দেশ্যে জন্মদিনের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কামনা জনগণের সার্বিক মুক্তি।’