অধরাকে ধরার হাতছানি। নতুন কিছুর অনির্বচনীয় স্বাদ। আপাতত এসবই বাংলাদেশ দলের তাড়না আর জ্বালানি। বাংলাদেশের কোনো দল আগে যা পারেনি, এবার তেমন কিছুর আশায় সবাই রোমাঞ্চিত বলে জানালেন রাসেল ডমিঙ্গো। ব্যর্থতার ধারা এবার প্রাপ্তির আনন্দে বদলে যাবে, বিশ্বাস বাংলাদেশ কোচের।
নিউ জিল্যান্ডে কিউইদের বিপক্ষে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৬ ম্যাচ খেলে কখনোই জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। সেখানে একমাত্র জয়টি ২০১৫ বিশ্বকাপে, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।
এবার সফর শুরুর আগে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলে গেছেন, নতুন কিছু করতে চান তারা। সফরে যাওয়ার পর একই কথা বলেছেন দলের অন্যরাও। ডানেডিনে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সেই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল কোচ ডমিঙ্গোর কণ্ঠে।
“বাংলাদেশের কোনো দল আগে যা করতে পারেনি, আমাদের জন্য তা করার দারুণ সুযোগ এবার। আমরা সবাই এটি নিয়ে রোমাঞ্চিত। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নিউ জিল্যান্ডে আমার এটি প্রথম সফর। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আগে এখানে এসেছি, জানি এখানে কাজটা কতটা কঠিন। তবে তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য এটি বড় সুযোগ।”
“বছর তিনেকের মধ্যে বিশ্বকাপ আছে, নিউ জিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দলগুলির একটি। ভারতে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টে সত্যিকার অর্থেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে, এরকম সিরিজেই দারুণ কিছু করতে হবে।”
তিন সংস্করণের মধ্যে ওয়ানডে ক্রিকেটই সবচেয়ে ভালো খেলে বাংলাদেশ। জয়ের সম্ভাবনা তাই এখানে বেশি দেখছেন কোচ।
“ এই মুহূর্তে, ৫০ ওভারের ক্রিকেটেই আমরা সবচেয়ে শক্তিশালি। বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সের দিকে যদি তাকান, ক্রিকেটারদের গড়ের দিকে খেয়াল করলে, ওয়ানডেতে বেশ ভালো পরিসংখ্যান আমাদের। এটিই আমার সবচেয়ে বেশি শক্তির জায়গা।”
লক্ষ্য পূরণে দলের প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে বলে মনে করছেন ডমিঙ্গো।
“প্রাথমিক সূচিতে ছিল, ক্রাইস্টচার্চে লকডাউন (কোয়ারেন্টিন) শেষ হওয়ার তিন দিন পরই প্রথম ওয়ানডে। পরে সূচিতে বদল আনা হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চে ব্যক্তিগত অনুশীলন শেষে কুইন্সটাউনে দারুণ একটি সপ্তাহ কাটিয়েছি আমরা। প্রস্তুতি নিখুঁত হয়েছে। ছেলেরা ছিল দারুণ। লকডাউন কঠিন ছিল, কিন্তু কোনো অভিযোগ নেই। গত তিন সপ্তাহে ছেলেরা যেভাবে সাড়া দিয়েছে, ওদের নিয়ে আমি গর্বিত।”
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে শনিবার নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।