তানভীর দিপু: কুমিল্লায় গোমতী নদীর বাঁধ রক্ষায় অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আবারো টানা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এপর্যন্ত গত দুই দিনের অভিযানে অবৈধ মাটি উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত অন্তত ৫টি ড্রাম ট্রাক ও ১টি ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার যে কোন নদীর বাঁধ থেকে অবৈধ ভাবে মাটি এবং নদী থেকে বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় গোমতী নদী রক্ষায় এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামী একমাস এই অভিযান নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পরিচালিত হবে। নদীর তীরবর্তী টিক্কারচর থেকে পালপাড়া, গোলাবাড়ি, শাহপুর, জালুয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে। নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ দিনে এবং রাতে এই অভিযান পরিচালনা করছেন।
এর আগেও বিভিন্ন সময় কুমিল্লায় গোমতী নদী এবং তীরবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ মাটি ও বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। তারপরও প্রশাসনে চোঁখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারেই বাঁধ কেটে মাটি উত্তোলন ও বিক্রি চালিয়ে আসছিলো অসাধু ব্যবসায়ীরা। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এই এ নিয়ে বার বার বিভিন্ন দাবী উত্থাপিত হলেও গোমতীর তীরকে মাটি ও বালুখেকোমুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযানে কোতয়ালী থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও জেলা আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সহযোগিতা করছেন।
জেলা প্রশাসক জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুল হাসান ছাড়াও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ফয়সাল আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবু সাঈদ, অমিত দত্ত এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন।