স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী (৫০ বছর) উপলক্ষে ৫০টি জাতীয় পতাকা সম্বলিত র্যালি দেশের ৬৪টি জেলা প্রদক্ষিণ করবে। আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে এই র্যালি শুরু হয়ে সারাদেশ ঘুরে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরবে।
এই কর্মসূচি সফল করতে ১৮ মার্চ দেশের সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৫০টি পতাকা ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা বহন করবেন।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে গত ৩ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় গৃহীত বছরব্যাপী কর্মসূচির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ অনুমোদন দিয়েছেন। এই জাতীয় কর্মসূচির ২ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত কর্মসূচি নিম্নরূপ- ৫০টি জাতীয় পতাকা সম্বলিত সুবর্ণজয়ন্তী র্যালি প্রতিটি জেলায় প্রদক্ষিণ শুরু। পতাকা প্রদক্ষিণ উপলক্ষে জেলায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও অন্যান্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা যেতে পারে। ৬৪ জেলা প্রদক্ষিণ শেষে ১৬ ডিসেম্বর সুবর্ণজয়ন্তী র্যালি ঢাকা প্রত্যাবর্তন করবে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘৫০টি জাতীয় পতাকা সম্বলিত সুবর্ণজয়ন্তী র্যালি’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধন হবে আগামী ২৬ মার্চ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সুবর্ণজয়ন্তী র্যালি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গমন, অবস্থান ও প্রস্থানের একটি রুট ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই রুট ম্যাপ অনুযায়ী সুবর্ণজয়ন্তী র্যালি জেলায় অবস্থানকালে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুবর্ণজয়ন্তী মেলা, মুক্তির উৎসব ইত্যাদি নানাবিধ বর্ণাঢ্য আয়োজন উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন করা যাবে।
‘এ পরিপ্রেক্ষিতে বাদ্যযন্ত্র/সাউন্ড সিস্টেমসহ ৫০টি পতাকাবাহী ৫টি যানবাহন সুসজ্জিতকরণ, ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচন ও রুটম্যাপ অনুযায়ী সুবর্ণজয়ন্তীর র্যালি সংশ্লিষ্ট জেলা থেকে পরবর্তী জেলায় পৌঁছানোসহ এ কর্মসূচি আয়োজনের সার্বিক কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
এমতাবস্থায় করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রুটম্যাপ অনুযায়ী এই জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
র্যালির যাত্রা শুরু হবে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে। সেজন্য ভেন্যু সজ্জিত করা, সঠিক রঙ ও মাপের ৫০টি পতাকা প্রস্তুত, বাদ্যযন্ত্র বা সাউন্ড সিস্টেমসহ ৫টি যানবাহন সুসজ্জিত করা, ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচনসহ এই অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজনের জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসককে আলাদা আরেকটি চিঠি দেয়া হয়েছে।