মাস্ক পরতে অস্বীকৃতি জানানোয় অস্ট্রিয়ায় তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে মাস্ক পরার ওপর জোর দিয়ে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে মাস্ক পরার প্রতি অনেকেরই অনীহা কাজ করছে। শনিবার দেশটির ক্রোনেন জেইতুং সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে, সুইজারল্যান্ডে মাস্ক না পরায় এক ক্রেতাকে মিগ্রোস সুপারমার্কেটে প্রবেশের ওপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ডসহ অনেক দেশেই নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ায় কঠোর বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
ওই দুই দেশে দোকান-পাট, রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ক্রোনেন জেইতুং সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ফ্রেইসতাত, ভোয়েকলাব্রাক এবং ওয়েলস শহরে একজন করে মোট তিনজন শিক্ষক বরখাস্ত হয়েছেন।
তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছেন। ফ্রেইসতাতে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের বিষয়ে শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি এবং সুরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে তাকে অনেক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। সে কারণেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ফ্রেইসতাত, ব্রাউনাও এবং স্টেইর শহরে আরও তিন শিক্ষককে মাস্ক পরার বিষয়টি বোঝানোর পর তারা বুঝতে পেরেছেন। ফলে ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে এফএফপি২ মাস্ক পরার বিষয়ে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে অস্ট্রিয়া।
অপরদিকে সুইজারল্যান্ডে বাড়িতেও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশটির লুসেরনে শহরের একটি সুপারমার্কেটে সম্প্রতি মাস্ক ছাড়াই সুপারমার্কেটে প্রবেশের চেষ্টা করেন নিজেকে ‘করোনাভাইরাস বিদ্রোহী’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া এক ব্যক্তি।
তাকে বার বার বলার পরেও সে মাস্ক পরতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তবে পুলিশ ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি।