পুকুর সেঁচে পাওয়া গেলো বড় বড় ইলিশ!
Published : Sunday, 21 March, 2021 at 12:00 AM
ভোলায় চরফ্যাশন উপজেলার একটি পুকুর সেঁচে মিলেছে বড় সাইজের ৮টি ইলিশ মাছ। প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় এক কেজি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। আর পুকুরে ইলিশ ধরা পড়ার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে এসব তাজা ইলিশ দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হাসেম মহাজনের পুকুরে। ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আমিনপুর গ্রামে তার পুকুরটি অবস্থিত।
স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা পরিবার উন্নয়ন সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক মো. আনিচ হাওলাদার জানান, শুক্রবার সকাল থেকে ওই এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হাসেম মহাজনের একটি পুকুরে সেঁচ দিয়ে মাছ ধরছিল স্থানীয় জেলেরা। ওই সময় অন্যান্য মাছের সঙ্গে ৮টি ইলিশ মাছও পান তারা। খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। পুকুরের তাজা ইলিশ হাতে নিয়ে ছবি তুলি।
কুকরি মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হাসেম মহাজনও ফোনে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চেয়ারম্যান জানান, আমার ২শ’ একর জমির মাছের ঘেরে গত বর্ষায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। হয়তো তখন জাটকাগুলো ঢুকেছে। সেখান থেকে এই পুকুরে এসেছে ও বড় হয়েছে। আমার ধারণা, আমার মাছের ঘেরে আরও ইলিশ আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চর কুকরি-মুকরিতে কোনও বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতি বর্ষায় জোয়ারের পানি ঢুকে আশপাশ তলিয়ে যায়। নদী সংলগ্ন হওয়ায় সেই জোয়ারের পানিতে মাছের ঘের ভেসে যেমন মাছ বের হয়ে যায় তেমনই নদীর মাছও ঘেরে প্রবেশ করে। সরকারি জমি-জমাসহ চেয়ারম্যানের ঘেরে এসব মাছ ঢোকে। চেয়ারম্যানের পুকুরটিও দীর্ঘ, অনেকটা খালের মতো দেখতে। স্থানীয়রা এটিকে পুষ্করণীও বলে, কেউ কেউ ঘেরও বলে। সেই পুকুরের এক প্রান্ত ঘেরের পাশে হওয়ায় ভরা জোয়ারে ইলিশের জাটকা ছুটতে ছুটতে এখানে এসে হয়তো আটকে গেছে। তবে মাছের ছবি দেখে বোঝা যায়, পুকুরে পানির স্রোত না থাকায় মাছগুলোর স্বাভাবিক বিকাশ খানিকটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিসের সহকারী পরিচালক এ.এফ.এম নাজমুস সালেহীন জানান, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। ইলিশ মাছ একটি বিচিত্র বৈশিষ্ট্যের প্রাণী। জোয়ারের পানি মাছের ঘের হয়ে পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও ঢুকতে পারে। তিনি আরও জানান, এখন দেশে পুকুরে ইলিশ চাষ নিয়েও গবেষণা চলছে।