পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের হেভিওয়েট আসন নন্দীগ্র্রামে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনের তারিখ ১ এপ্রিল। তার আগেই শনিবার (২০ মার্চ) থেকে সেখানে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে,, পোস্টাল ব্যালটে আগাম এই ভোটগ্রহণ চলছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহচর শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগদান করায় তাদের পথ এখন কার্যত বিপরীতমুখী। আর তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দুকে হারাতে তারই ঘাঁটি বলে পরিচিত নন্দীগ্রামে লড়ছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মমতা-শুভেন্দুর প্রচারণার দ্বৈরথের মধ্যেই হাইভোল্টেজ এই আসনে শুরু হয়েছে পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণ। নতুন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রবীণ ভোটারদেরকে বাড়িতে বসেই ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি’র মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে, অন্যদিকে তখন শনিবারই পছন্দমতো প্রার্থী বাছাই করে ফেলেছেন ওই আসনের বয়স্ক ভোটাররা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নন্দীগ্রামসহ পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু আসনে শনিবার থেকেই নতুন এই পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এসব আসনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১ এপ্রিল। বয়সের কারণে এর আগে অনেক সময়ই ভোটদান করতে সক্ষম হননি অনেকে। তার ওপর করোনা সংক্রমণের আতঙ্কও রয়েছে। তাদের কথা বিবেচনায় নিয়েই পোস্টাল ভোটের ব্যবস্থা।
বাড়িতে বসে ভোটাধিকার প্রয়োগের এই সুযোগ পেয়ে খুশি প্রবীণ ভোটাররা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ৮০ বছরের বেশি বয়সী ভোটারদের এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দেশটির নির্বাচনী সংস্কৃতিতে এই পদ্ধতি কার্যত নজিরবিহীন। কোনও ঝামেলা ছাড়াই বাড়িতে বসে ভোট দিতে পেরে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন অনেক ভোটার।
প্রবীণদের পাশাপাশি বাড়িতে বসেই ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও। নন্দীগ্রাম ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক, হলদিয়া, পাঁশকুড়া-পূর্ব, পাঁশকুড়া-পশ্চিম, ময়না, মহিষাদল, নন্দকুমার, চণ্ডীপুরে শনিবার থেকেই নতুন এই পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।