ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লার গোমতী নদী রক্ষায় মাসব্যাপি অভিযান শুরু
Published : Sunday, 21 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 21.03.2021 2:15:07 AM
কুমিল্লার গোমতী নদী রক্ষায় মাসব্যাপি অভিযান শুরুতানভীর দিপু:
গোমতী নদী রক্ষায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের মাস ব্যাপি অভিযান শুরু হয়েছে। গোমতী নদী রক্ষায় অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দিন রাত ২৪ ঘন্টা অব্যাহত থাকবে। শুধু কুমিল্লা জেলা সদর নয়, গোমতীর গতি পথে বিভিন্ন উপজেলাতেও এধরনের অভিযানের নির্দেশনা দিয়েছেন  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। গতকাল সদর উপজেলার আমতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সাঈদ ও জনি রায়। অভিযানে গোমতী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ২টি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়। এছাড়া গোমতীর চর থেকে মাটি উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত পথগুলোও নষ্ট করে দেয়া হয়। দেবিদ্বার উপজেলায়ও এধরনের অভিযানে মাটি কাটায় ব্যবহৃত ৩টি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
এপর্যন্ত গত ৩ দিনের অভিযানে অবৈধ মাটি উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত অন্তত ৮ টি ড্রাম ট্রাক, ২টি ট্রাক্টর ও ১টি ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডও দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।  
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার যে কোন নদীর বাঁধ থেকে অবৈধ ভাবে মাটি এবং নদী থেকে বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় গোমতী নদী রক্ষায় এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামী একমাস এই অভিযান নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পরিচালিত হবে। নদীর তীরবর্তী টিক্কারচর থেকে পালপাড়া, গোলাবাড়ি, শাহপুর, জালুয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে। নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ দিনে এবং রাতে এই অভিযান পরিচালনা করছেন।
এর আগেও বিভিন্ন সময় কুমিল্লায় গোমতী নদী এবং তীরবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ মাটি ও বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। তারপরও প্রশাসনে চোঁখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারেই বাঁধ কেটে মাটি উত্তোলন ও বিক্রি চালিয়ে আসছিলো অসাধু ব্যবসায়ীরা। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এই এ নিয়ে বার বার বিভিন্ন দাবী উত্থাপিত হলেও গোমতীর তীরকে মাটি ও বালুখেকোমুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযানে কোতয়ালী থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও জেলা আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সহযোগিতা করছেন।