নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমির মাটি কেটে নেওয়ায় ১০ গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একমাত্র সড়কটি ধসে পড়ল খাদে। নির্মাণের আড়াই মাস পর মঙ্গলবার রাতে বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের কামতাল-মালিভিটা মাদ্রাসা এলাকায় সড়ক ধসের এ ঘটনা ঘটে।
ইটভাটার জন্য গ্রামীণ উন্নয়ন অবকাঠামোর আওতায় নির্মিত সরকারি রাস্তা সংলগ্ন কৃষিজমি ২শ' ফুট গভীর করে মাটি কেটে নেওয়ায় ও সড়ক দিয়ে মাটিভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটি ধসে পড়ে বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন।
এদিকে সড়ক ধসে পড়ার খবর পেয়ে বুধবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা সুলতানা নাসরিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি ইটভাটার মালিককে তিন দিনের মধ্যে সড়ক মেরামত করে দেয়ার নির্দেশ দেন।
গ্রামবাসী জানান, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের কামতাল, আড্ডা, শ্যামপুর, রায়েরবাগ, মালিভিটা, দশদোনাসহ ১০ গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য কামতাল মালিভিটা দাখিল মাদ্রাসা থেকে জাঙ্গাল বিলের ওপর দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সুন্দরবন পেট্রল পাম্প পর্যন্ত কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ করে দেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান। দুই বছর ধরে সম্পূর্ণ নতুন সড়কটি নির্মাণ করা হয়। গত জানুয়ারি মাসে চলাচলের জন্য সড়কটি খুলে দেয়া হয়।
ইটভাটার জন্য কয়েক দিন যাবত নবনির্মিত সড়কের আশপাশের কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছিল। সড়ক সংলগ্ন কৃষিজমির ২শ' ফুট নিচ থেকে মাটি উত্তোলনের ফলে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার রাতে প্রায় ৫শ ফুট সড়ক ভেঙে গভীর খাদে ধসে পড়ে।
এ ব্যাপারে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ জানান, অপরিকল্পিতভাবে জমির মাটি নেওয়ায় গভীর গর্ত হয়ে নবনির্মিত সড়ক ধসে পড়ে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এসি ল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন ইউএনও। আগামী তিন দিনের মধ্যে সড়ক মেরামত করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শুক্লা সরকার বলেন, সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারি রাস্তা নিজ স্বার্থের জন্য কেউ অপব্যবহার করলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।