ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
আরও ১২ লাখ ডোজ টিকা উপহার পাঠাচ্ছে ভারত
Published : Friday, 26 March, 2021 at 12:00 AM
সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ১২ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশকে উপহার পাঠাচ্ছে ভারত, যা শুক্রবার পৌঁছাবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসেই ঢাকা আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি থাকবেন তিনি।
ভারত সরকার এর আগেও ২০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছিল বাংলাদেশকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর এবং মুখপাত্র অধ্যাপক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বৃহস্পতিবার বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টার ফাইটে এবারের উপহারের ১২ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তারা জানতে পেরেছেন।
“এটা গিফ্ট হিসেবে আসছে। আমাদের কেনা যে টিকা, এর সঙ্গে এই টিকার কোনো সম্পর্ক নাই। এটা কাল আসবে বলে আশা করা যায়। এটা গ্রহণ করার প্রস্তুতি চলছে।”
সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গতবছর নভেম্বরে যে চুক্তি হয়েছিল, তার মধ্যে দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে।
ভারত সরকার উপহার হিসেবে যে ২০ লাখ ডোজ টিকা এর আগে দিয়েছিল, সেটাও ছিল সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যা তারা বাজারজাত করছে কোভিশিল্ড নামে।
টিকার প্রথম চালান হাতে পাওয়ার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে গণ টিকাদান শুরু হয়। প্রায় দেড় মাসে ৫০ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশের মত।
নভেম্বরের চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ সঙ্কটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ পেয়েছে।
এর পরের চালান্ ২৬ মার্চ বা তার পর আসতে পারে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ভারত সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে বলে খবর এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রোবেদ আমিন বলেন, “আমাদের কেনা যে টিকা, তাতে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসেছে ৭০ লাখ ডোজ।
“ফেব্রুয়ারির চালানের বাকি ৩০ লাখ এবং মার্চের চালানের ৫০ লাখ টিকার বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এই ৮০ লাখ ডোজ টিকার ব্যাপারে এখনও কিয়ার না। আসার কথা ছিল, তা এখনও পাইনি।”