ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
লক ডাউনে সাড়া নেই চান্দিনায়
Published : Monday, 5 April, 2021 at 9:05 PM
লক ডাউনে সাড়া নেই চান্দিনায়রণবীর ঘোষ কিংকর।
করোনার ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে ওষুধ, কাঁচামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া সব কিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু কুমিল্লার চান্দিনায় লকডাউনের প্রথম দিন তেমন সারা পড়েনি উপজেলা জুড়ে। 
ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘরের বাহিরে যাতায়াতে নিষিদ্ধ করার বিষয়টিও যেন জানা নেই কারও। 
লকডাউনের প্রথম দিন অন্যান্য দিনের মত স্বাভাবিক চলাচল করতে দেখা গেছে। অধিকাংশ পথচারীদের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। 
বাজারের অধিকাংশ দোকান-পাট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে খোলাই ছিল। কিছু দোকান বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ দোকানের এক সার্টার খোলা আবার কোন কোন দোকানদার সার্টার নামিয়ে সামনে বসে থাকতে দেখা গেছে। ক্রেতা আসলেই সার্টার খুলে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে।  চান্দিনা উপজেলা সদরের মধ্য বাজারে যানজট ছিল পড়ার মত। 
উপজেলা সদরের বাহিরে লক ডাউনের কোন দৃশ্য নেই। গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার, দোকান-পাটগুলো সকাল থেকে রাত অবধি খোলাই ছিল। গ্রামাঞ্চলের চা-দোকানে আড্ডায়ও যেন কমতি নেই। 
অপরদিকে, উপজেলার মাধাইয়া, মহিচাইল, নবাবপুর, বদরপুর বাজারে লোক সমাগম ও সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্যান্য দিনের মত চলতে দেখা গেছে। পুলিশের অভিযানে তাৎক্ষনিক বন্ধ করলেও পুলিশ চলে গেলে আবারও খুলে বসতে দেখা গেছে। 
একাধিক ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান- ‘আমরা কি একা খোলা রাখছি কিনা? কেউ অর্ধেক সার্টার নামিয়ে ব্যবসা করছে, আবার কেউবা দোকানের সামনে বসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের নির্দেশ সকলে তো মানছে না। সবাই বন্ধ রাখলে আমরাও রাখবো’। 
সচেতন নাগরিকদের মতে গত বছরের মত উপজেলার আনাচে-কানাচে ভ্রাম্যমান আদালত ও পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকলে কিছুটা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে। 
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শাসমউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান- আমি নিজেও বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দোকান-পাট বন্ধ করেছি। 
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান- প্রথম দিনে কিছু ব্যবসায়ী আইন অমান্য করেছে। সোমবার আমার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। মঙ্গলবার থেকে আরও কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।