নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবে নিহতদের মধ্যে চারজনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, রোববার রাত ২টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন তারা। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক নারীর লাশ নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় সাবিত আল আসাদ নামে একটি লঞ্চ ডুবে যায়।
পরে ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাছাড়া আরও অন্তত ২৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ইউএনও নাহিদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনরা ২৮ জনের নাম জানিয়েছেন। তাদের সন্ধানে নদীতে উদ্ধার কাজ চলছে।
নিহতদের চারজন হলেন- মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মালপাড়া এলাকার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০), উত্তর চরমসুরা এলাকার অলিউল্লাহর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), নয়াগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার মিথুন মিয়ার স্ত্রী সাউদা আক্তার লতা (১৮)।
তাছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক নারীর লাশ পাওয়া গেছে; যার বয়স আনুমানিক ৩৪ বছর বলে ইউএনও জানান। তার লাশ নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আরেফিন বলেন, বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চটিকে শহরের কয়লাঘাট এলাকায় পেছন থেকে একটি কার্গো জাহাজ এসে ধাক্কা দিলে ডুবে যায়।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরী ববিকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।