Published : Monday, 5 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 05.04.2021 12:57:23 AM
তানভীর দিপু ।।
করোনা
ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষনার পর
সড়কে-মহাসড়কে বেড়ে গেছে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের ভিড়। রবিবার সকাল থেকেই
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিলো অতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড়। অধিকাংশই ছিলেন শহর
থেকে গ্রামের বাড়ি যাবার যাত্রী। পথে পথে যাত্রীদের ভীড়ের চিত্র দেখে যে
কারোরই মনে হতে পারে যেনো ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে এসব মানুষ।
গতকাল
রোববার সকাল ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পদুয়ারবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা
যায়, মহসড়কের এই চৌরাস্তার সব ক’টি মোড়েই যাত্রীদের ভিড়। ঢাকাগামী যাত্রী
সংখ্যা কম থাকলেও চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেণী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী
যাত্রীরাই ছিলেন এই মোড়ের ভিড়ে। সবার অপেক্ষা ছিলো- নিজ গন্তব্যের
যানবাহনের। কিন্তু হুট করে যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় দেখা দেয় পরিবহন সংকট। তার
উপর অধিকাংশ বাসে অর্ধেক যাত্রী বহন করায় যাত্রীদের অধিকাংশই অপেক্ষা
করছিলেন রাস্তায়।
ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের
সোহাগ অপেক্ষা করছিলেন পদুয়ারবাজার কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কে। ঢাকা থেকে
এক বাসে কুমিল্লা পর্যন্ত আসেন, এখান থেকেই বাসে উঠে যাবেন গ্রামের বাড়ি
চাঁদপুরে। কিন্তু স্ট্যান্ড থেকেই অধিকাংশ বাসের নিয়মানুযয়ী সিট খালি না
থাকায় অপেক্ষা করতে হয় প্রায় ঘন্টার মত।
একই রাস্তার মাথায়
ঢাকা-কুমিল্লা রটে তিশা পরিবহনের বাসের কাউন্টারে টিকেটের জন্য লাইন ধরতে
হয়েছে যাত্রীদের। কারণ, ঢাকা থেকে যাত্রী আসার চাপ থাকায় কুমিল্লার
স্ট্যান্ডে দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকট। একই দৃশ্য দেখা গেছে জাঙ্গালিয়া বাস্ট
টার্মিনালের স্ট্যান্ড গুলোতেই। ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়ায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে
মুহর্তের মধ্যেই ছেড়ে যাচ্ছিলো ঢাকা, চাঁদপুর, নোয়াখালীগামী বাসগুলো।
লকডাউনের বন্দী দশা এড়াতে আগেই যেন গন্তব্যে যাবার যাত্রীদের ¯্রােত
টার্মিনালগুলোতে।
এদিকে ছোট ছোট পরিবহন লেগুনা, সিএনজি অটোরিকশা ও
লোকাল বাসের বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া নেবার অভিযোগ করে যাত্রীরা। চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা সদরে থেকে আসা আমিনুল জানান, সিএনজি করে ভেঙে ভেঙে পদুয়ার বাজার
আসতে হয়েছে তাকে, কিন্তু প্রতিবারেই তাকে দিতে হয়েছে দ্বিগুণ ভাড়া। করোনার
স্বাস্থ্যবিধি মানতে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের কারনে যানবাহনের যে সংকট তারই
ফয়দা লুটছেন অনেকে।
অন্যদিকে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার পরিবহনগুলোতেই
শুধুমাত্র মানা হচ্ছিলো স্বাস্থ্যবিধি। লোকাল বাস বা সংক্ষিপ্ত দূরত্বের
বাসে বিধি মানার তেমন কোন ইচ্ছে যাত্রী বা চালকের কারোরই নেই। মাস্ক ছাড়াই
বাসে ভ্রমন করছেন অনেকে। এরমধ্যে অধিকাংশ নারী যাত্রীরাই ব্যবহার করছেন না
মাস্ক।
কুমিল্লা পদুয়ার বাজার এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের
পরিদর্শক হোসেইন মুরাদ জানান, পুলিশ বাসগুলোতে পর্যবেক্ষণ করছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছে। আর লকডাউনের আগের দিন
হিসেবে মহাসড়কে যান চলাচলের ভিড়ও আছে। আবার অতিরিক্ত যাত্রীর জন্য তৈরী
হয়েঝে যানবাহন সংকটও।