কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মাদ্রাসার ১ম শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে (৯) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার বিকেলে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের শুভপুর ওয়াছাকিয়া কুরআনিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ঘটনাটি ঘটেছে। শিশুটির গ্রামের বাড়ি একই ইউনিয়নের কদমতলী। পুলিশ ধর্ষক মাদ্রাসা শিক্ষক মৌলভী বিল্লাল হোসেনেকে মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করেছে। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার চেংগুছড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। ধর্ষিতা শিশুটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে নাঙ্গল নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যাপারে শিশুটির পিতা বাদি হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষককে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষিতার পারিবারিক ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শিশু শিক্ষার্থীটি গত প্রায় দুই বছর থেকে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের শুভপুর ওয়াছাকিয়া কুরআনিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় লেখাপড়া করে আসছিলেন। গত সোমবার বিকেলে মাদ্রাসার শিক্ষক মৌলভী বিল্লাল হোসেন মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীকে ছুটি দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীটিকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশু শিক্ষার্থীটি তাদের ভাড়া বাড়ি একই ইউনিয়নের আজিয়ারা গ্রামে আসলে তার মা শিশুটির গোপনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হতে দেখেন। এসময় শিশুটি মাদ্রাসার শিক্ষক মৌলভী বিল্লাল হোসেন কর্তৃক তাকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানান। পরে শিশুটির মা এবং বাবা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তার মা-বাবার মাধ্যমে তাকে থানায় প্রেরণ করেন। পরে থানা পুলিশ তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুলিশ গত সোমবার রাতে মাদ্রাসা থেকে ধর্ষক মৌলভী বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আনোয়ার হোসেন খন্দকার বলেন, প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আহত শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডেিকল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।