মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন ঘোষনা করেছে সরকার। সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লার লাকসামেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা যথাযথ ভাবে মানছেন না জনসাধারণ। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই বাজারমুখো হচ্ছেন তারা। আবার জরিমানা এড়াতে কেউ কেউ দায়সারা মাস্ক পরলেও তা রেখে দিয়েছেন থুতনির নীচে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারে জনসাধারণের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। কোথাও কোথাও রিকশা-অটোরিকশার দীর্ঘ যানজটও দেখা গেছে। এর আগে সোমবার লকডাউন কার্যকরের লক্ষ্যে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাস্ক না পরার দায়ে জরিমানা গুনেছেন অনেকেই। ফলে জরিমানা এড়াতে মঙ্গলবার অনেকেই দায়সারা মাস্ক পরেছেন থুতনির নীচে। মাস্ক ব্যবহারে জনসাধারণের কোন বালাই নাই। রিকশা-অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যানসহ অন্যান্য পরিবহনের চালক-যাত্রী, বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা, হকার-পথচারী সকলেই চরম উদাসীন। লকডাউন ঘোষণার পরও সাধারণ মানুষের মাঝে এ নিয়ে বিন্দুমাত্র সচেতনতা সৃষ্টি হয়নি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে দায়িত্ব জ্ঞানহীন হয়ে পড়েছে লাকসাম উপজেলাবাসী। ফলে সড়ক, হাট-বাজার, মার্কেট, গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার না করেই অধিকাংশ মানুষ চলাচল করছে। বিশেষ করে পৌর শহরে জনসমাগম স্থানগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কিঞ্চিত চেষ্টা নেই কারোরই। অনেকে মাস্ক পরলেও সঠিকভাবে তা পরিধান করছেন না। তারা থুতনির নীচে মাস্ক নামিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সর্বত্র। ফলে গুরুত্ব হারাচ্ছে মাস্ক পরিধান বজায় রাখার সরকারি নির্দেশনা। লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারেও দেখা গেল একই চিত্র। এমনকি পাড়া-মহল্লার মুদি, কনফেকশনারী ও চা দোকানেও মাস্কের তোয়াক্কা করছেন না কেউই।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. একেএম সাইফুল আলম বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা সার্বক্ষণিক মাঠে আছি। করোনা প্রতিরোধে সঠিক পদ্ধতিতে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাস্ক পরিধানে উদাসীন ব্যক্তিদেরকে সচেতন করেছি। জনস্বার্থে পর্যায়ক্রমে আমরা আরো কঠোর পদক্ষেপ নিবো।’