যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে দূতাবাস ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলছে, বুধবার রাষ্ট্রদূত কিয়াও জাওয়ার মিন নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সামরিক সরকারের নির্দেশে তার ডেপুটি দূতাবাসের সার্বিক কর্তৃত্ব নিজের হাতে নিয়েছেন। একে ‘দূতাবাসে অভ্যুত্থান’ আখ্যা দিয়েছেন কিয়াও।
আলজাজিরা জানিয়েছে, জান্তাপন্থীদের দূতাবাস লন্ডনে সু চি-পন্থী বিক্ষোভকারীরা দূতাবাস ভবনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে রাষ্ট্রদূত কিয়াও-ও ছিলেন। ভেতনের কে আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সামরিকপন্থীরা রয়েছে ভেতরে। তারা দূতাবাস দখল করে নিয়েছে’।
গত মাসেই নিজ দেশে সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে কথা বলেন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা কিয়াও। বন্দি নেত্রী অং সান সুচি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের মুক্তির দাবি জানান তিনি। দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তার বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, কিয়াও রাতভর দূতাবাস ভবনের সামনে ছিলেন তার গাড়িতে অবস্থান নিয়ে। দূতাবাসের সামরিক অংশ তাকে বলেছে, তিনি আর দায়িত্বে নেই। তার স্টাফদেরও দূতাবাস ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত কিয়াও লন্ডনের এই ঘটনাকে ‘দূতাবাসে অভ্যুত্থান’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘তারা আমার কার্যালয় দখল করে রেখেছে। আমি এখানে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত। আমার ভেতরে যাওয়া প্রয়োজন। সেজন্যই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।’
যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।