ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
লকডাউনে দূর পাল্লার গণপরিবহন বন্ধ
এ্যাম্বুলেন্সে যাতায়াত, তিনগুণভাড়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ
Published : Friday, 9 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 09.04.2021 12:47:08 AM
এ্যাম্বুলেন্সে যাতায়াত, তিনগুণভাড়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগরণবীর ঘোষ কিংকর।
করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে সরকার সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করার তৃতীয় দিন থেকে রাজধানীসহ নগরীগুলো গণপরিবহন চলাচলের পুন:সিদ্ধান্ত নেয়। এতে নগরীগুলোসহ আশ-পাশের এলাকাতে দেদারছে চলছে গণপরিবহন।
লকডাউনের চতুর্থ দিনই ব্যবসায়ীদের চাপে দোকান-পাট, শপিং মল খুলে দেওয়ার ফের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এতে করে সড়ক-মহাসড়কের দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ব্যতিত সকল যানবাহনই চলাচল করতে শুরু করে।
কিন্তু মহাসড়কের দূরপাল্লার বাস চলাচল না করায় যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। একদিকে সকল অফিস-আদালত খোলা, অপরদিকে শুক্রবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট। যারফলে গন্তব্যে পৌঁছতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের বিভিন্ন স্টেশন এলাকাগুলোতে যাত্রীদের ভীড়। গন্তব্যে পৌঁছতে কেউবা এ্যাম্বুলেন্সে করে, কেউবা পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যানে, আবার কেউবা মহাসড়কের চলাচলরত প্রাইভেট পরিবহনগুলোতে যাতায়াত করছে। এতে করে তিনগুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
চান্দিনার একটি হাসপাতলে চাকুরী করা ময়না আক্তার জানান- আমি প্রতিদিন কুটুম্বপুর থেকে যাতায়াত করে চান্দিনায় এসে অফিস করি। বাস না চলায় এখন প্রতিদিন ২০ টাকা ভাড়ার স্থলে ৪০ টাকা ভাড়ায় দরজা খোলা মাইক্রো-মারুতিতে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
চান্দিনা বাস স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী যাত্রী বিল্লাল হোসেন জানান- আমার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায়। আমি ঢাকায় ব্যবসা করি। সরকার লকডাউন ঘোষণা করে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় বাড়িতে চলে আসছি। বৃহস্পতিবার সরকার আবারও সিদ্ধান্ত নেয় দোকান-পাট খোলার। তাই আজ আবার ঢাকায় রওয়ানা হয়েছি। দুপুর ১টার দিকে লাকসাম থেকে রওয়ানা হয়ে পিকআপ যোগে পদুয়ার বাজার আসি, সেখান থেকে মারুতি করে ক্যান্টনমেন্ট ও পরে চান্দিনায় আসি। এ পর্যন্ত আমার ২শ টাকা খরচ হয়েছে। ঢাকায় পৌঁছতে আরও কত টাকা লাগবে জানি না। অপেক্ষায় আছি ঢাকাগামী কোন পরিবহন পাই কিনা।
ঢাকার নিউমার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী আহসান হাবিব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী বহন করার চেয়ে মারুতি ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে যাত্রীবহন আরও অধিক ঝুঁকিপুর্ণ। কিন্তু মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চলছে না ঠিকই, কিন্তু মারুতি-মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে যখন দ্বিগুন-তিনগুন ভাড়ায় যাত্রীবহন চলছে তা কি প্রশাসনের নজরে আসছে না? সরকার সব কিছুই খুলে দিয়ে মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে কি লাভ!
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) সালেহ আহমেদ এর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।