ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
পেট থেকে গজ সেলাই ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি
Published : Friday, 9 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 09.04.2021 12:54:33 AM
পেট থেকে গজ সেলাই ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটিশাহীন আলম, দেবিদ্বার।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করার সময় পেটে মপ (গজ) রেখে সেলাই করার পাঁচমাস পর পুনরায় অপারেশন করে পেট থেকে মপ (গজ) বের করার ঘটনায় বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের নির্দেশে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা  ডা. আহম্মেদ কবীরকে আহবায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হচ্ছেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুন নাহার ভূইয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মঞ্জুর রহমান ও উপজেলা প্রাইভেট হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ময়নাল হোসেন (ভিপি)। বিকালে মুঠো ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিব হাসান।
এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বর জেলার মুরাদনগর উপজেলার মোগসাইর গ্রামের মো.রাসেল মিয়ার স্ত্রী দেবিদ্বার আল ইসলাম হসপিটালে ভতির্র পর তার সিজিরিয়ান অপারেশন করেন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও গাইনী বিশেষজ্ঞ  ডা. রোজিনা আক্তার ও তার সহযোগি ডা. শামীমা আক্তার লিন্টাসহ অন্যান্যরা। ৯ নভেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়। কিন্ত হাসপাতাল থেকে ওই প্রসূতি বাড়ি ফেরার পর অপারেশনের ত স্থানে ব্যাথা আরও বেড়ে গেলে তাকে ঢাকা ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি দেখে জেলার ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তার দ্বিতীয় দফায় অপারেশন করে পেট থেকে মপ (গজ) বের করেন চিকিৎসক ডা. কর্ণেল আবু দাউদ মো. শরীফুল ইসলাম। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশিত এ খবর ভাইরাল হয়ে পড়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই নারী বড় ভাই মো. রহুল আমিন জানান,  আমার বোন এখনও  ঝুঁকিমুক্ত হয়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন আরও ৫/৬দিন সময় লাগবে তারপর বুঝা যাবে। এ ঘটনাটি অত্যান্ত নিন্দনীয়। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।  
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহম্মেদ কবীর জানান, তদন্ত কমিটির চিঠি এখনো হাতে পাইনি। এছাড়াও জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে পৃথক আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হতে পারে।