হেফাজতের হরতালের দিন ও আগে-পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তা-বের ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৪৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত ২৮৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৪ দিনে গ্রেফতার করা হয়েছে মাত্র ৫৫ জনকে।
শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইও-১ পরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের সহিংসতার ঘটনায় মোট ৪৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৩টি, আশুগঞ্জ থানায় ৩টি ও সরাইল থানায় ২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারনামীয় ২৮৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। এর মাঝে গত ২৬ মার্চের পর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৫ জনকে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) রইছ উদ্দিন জানিয়েছিলেন, স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এসব আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাদের অনেকেই এখন পলাতক। ভিডিও ফুটেজগুলো দেখে অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদরাসাছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা হয়। এ সময় পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌরমিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনায় নিহত হয় অন্তত ১২ জন।