Published : Sunday, 11 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 11.04.2021 12:41:25 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর: করোনার বিস্তার ঠেকাতে সরকার সাত দিনের লকডাউন ঘোষণার সাথে একমত হয়নি ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের ধারাবাহিক আন্দোলনে শর্তসাপেক্ষে সরকার দোকান-পাট খোলার সিদ্ধান্ত দিলেও কুমিল্লার চান্দিনায় স্বাস্থ্য বিধি ও সরকারি নির্দেশ অমান্য করেই চলছে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার শর্ত জুড়ে দিলেও তার সিকিভাগও তোয়াক্কা করছে না ক্রেতা-বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা স্ব-স্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্যানিটাইজার স্প্রে করা থাক দূরের কথা, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখে শতভাগ মাস্ক নিশ্চিত করতে পারছে না তারা।
সরেজমিনে চান্দিনা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অনেক দোকান-পাট সকাল ৭টায় খুলে দিচ্ছে। আবার রাত ১০টা পর্যন্তও চলছে কোন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বাজারের মুদি দোকান, স্টেশনারী দোকান ও কাপড় দোকানগুলোতেই ক্রেতা-সমাগম সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্বের কোন ব্যবস্থা নেই অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। ক্রেতারা গাদাগাদি করেই ভীড় জমাচ্ছেন দোকানে। অবস্থা দৃষ্টে দেখা যায় যেন, করোনা কালিন সময়ের কোন বিধি-নিষেধই নেই বাজারগুলোতে।
চান্দিনা কাপড় বাজারে আসা এক নারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান- কি করবো, ১৪ তারিখ থেকে নাকি আবারও লকডাউন। তাই ভীড়ের মধ্যেই পরিবারের জন্য কেনা-কাটা করতে এসেছি।
অপর এক নারী জানান- দোকানগুলোতে তো পর্যাপ্ত জায়গা ফাঁকা নেই। ৪/৫জন ক্রেতা ভিতরে ঢুকলেই গাদাগাদি করে কেউ বসে আবার কেউবা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আর কোন দোকানেই স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে না।
অপরদিকে, গরু বাজার ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। ওই বাজারের অবস্থা আরও নাজুক। শনিবার চান্দিনা গরু বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার অধিকাংশদেরই মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন ব্যবস্থা নেই ওই গরু বাজারে।
চান্দিনা বণিক সমিতির সভাপতি এরশাদ আলী ভূইয়া সহমত পোষণ করে জানান- আমি ব্যবসায়ীদের একাধিকবার সভা করে বলেছি। তারপরও যদি কেউ অমান্য করে তাহলে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সেখানে আমাদের সংগঠনের কোন আপত্তি থাকবে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান- আমরাও বিষয়টি জানতে পেরেছি। আগামীকাল (রবিবার) থেকে নিয়মিত অভিযানে নামবে ভ্রাম্যমান আদালত।