Published : Sunday, 11 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 11.04.2021 12:41:57 AM
জহির শান্ত ||
প্রাণঘাতি
নভেল করোনা ভাইরাসে কুমিল্লায় একদিনে আরো ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত
২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ১০৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে গত
১০দিনে এ জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২জন। এ সময়ে (১০ দিনে)
জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৩ জন। সংক্রমিতদের এ তালিকায়
করোনার পরীক্ষা করা বিদেশগামীরাও রয়েছেন। বিদেশগামী যাত্রীদের মধ্যে গতকালও
৩ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে জেলায়
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে প্রর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬ শ’ জন।
এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২০ জন, সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৫৫ জন। কুমিল্লা
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জেলা
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১০ এপ্রিল) কুমিল্লায়
নতুন করে আরো ১০৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সিটি
কর্পোরেশন এলাকারই ৫৫ জন। এদিন প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। মারা যাওয়া রোগীদের
মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকার ২ জন, সদর দক্ষিণ উপজেলার ৩ জন, দেবীদ্বারের
১জন এবং চান্দিনা উপজেলার ১জন। মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ এবং ১
জন নারী।
এছাড়াও চলতি মাসের প্রথম দিন (১ এপ্রিল) কুমিল্লায় করোনা
আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৩জন। এদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮৪ জন। এছাড়াও ২
এপ্রিল ৫ জনের মৃত্যু ও ১০৩ জন সংক্রমিত, ৩ এপ্রিল ২ জনের মৃত্যু ও ৪৮ জন
সংক্রমিত, ৪ এপ্রিল চারজনের মৃত্যু ও ৮০ জন সংক্রমিত, ৫ এপ্রিল ১ জনের
মৃত্যু ও ৫১ জন সংক্রমিত, ৬ এপ্রিল ১ জনের মৃত্যু ও ১০৩ জন সংক্রমিত, ৭
এপ্রিল ২ জনের মৃত্যু ও ১০১ জন সংক্রমিত, ৮ এপ্রিল ৫ জনের মৃত্যু ও ৮৮ জন
সংক্রমিত এবং ৯ এপ্রিল ২ জনের মৃত্যু ও ৯২ জন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হন।
করোনা
সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহবান জানিয়ে জেলা করোনা সংক্রমণ
বিষয়ক কুমিল্লার প্রাক্তণ সমন্বয়ক ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী জানান,
কুমিল্লায় সংক্রমণের হার অনেক বেশি। বিশেষ করে সিটি এলাকায় ব্যাপকভাবে
করোনা ছড়িয়ে পড়ছে। এজন্য দ্রুত এলাকাভিত্তিক জোন চিহ্নিত করে লকডাউন করতে
হবে। অথবা যে বাড়িতে আক্রান্ত আছে সে বাড়িটি লকডাউন করতে হবে, যদি করোনা
নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। মানুষের জীবন জীবিকার দিকেও নজর দিতে হবে।
এ বিষয়ে
জানতে চাইলে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ
কামরুল হাসান বলেন, এ মুহূর্তে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। আমরা
চেষ্টা করছি সংক্রমণ কমিয়ে আনার। মাঠে মোবাইল কোর্ট চালু রয়েছে, যে কোন
ধরনের অনিয়ম রোধে তারা কাজ করছেন। ইতোমধ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী
বিকেল ৫টার পর সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।