Published : Sunday, 11 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 11.04.2021 12:42:19 AM
স্টাফ
রিপোর্টার।। কুমিল্লা শহরে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। গত ৭
এপ্রিল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা ৪৬টি নমুনার মধ্যে ২২
জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা মোট পরীক্ষার প্রায় ৪৮ ভাগ। যা
উচ্চ সংক্রমণের তথ্য নির্দেশ করে। শনিবার (১০এপ্রিল) পাওয়া রিপোর্টে দেখা
যায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ৬ ও ৭ এপ্রিল মোট ৯৫ টি নমুনা সংগ্রহ করে
পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানে মোট ৩২ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। যা
মোট পরীক্ষার প্রায় ৩৪ ভাগ। অর্থ্যাৎ ৬ এপ্রিল ৪৯ টি নমুনায় ১০ জনের করোনা
শনাক্ত হলেও ৭ এপ্রিল ৪৬টি নমুনার মধ্যে দ্বিগুণ ২২ জনের করোনা পজেটিভ
এসেছে। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টরা এ পরিস্থিতিকে মারাত্মক মনে করছেন।
সব
মিলিয়ে চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪৮৭ জন
করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ ১০ দিনের মধ্যে গত ২ এপ্রিল কুমিল্লা সিটিতে
একদিনে সর্বোচ্চ ৭৮ জন করোনা সংক্রমিত হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০ জন রোগী
শনাক্ত হয় ৬ এপ্রিল। এছাড়াও ১ এপ্রিল ৩৪ জন, ৩ এপ্রিল ২৬ জন, ৪ এপ্রিল ৫৬
জন, ৫ এপ্রিল ১৪ জন, ৭ এপ্রিল ৫৬ জন, ৮ এপ্রিল ৫৭ জন, ৯ এপ্রিল ৪১ জন এবং
গতকাল ১০ এপ্রিল কুমিল্লা নগরীতে ৫৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়াও চলতি
মাসের প্রথম ১০ দিনে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে
প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা আক্রান্তরা আগে ৮/১০
দিন বাসায় গড়াগড়ি করতেন কিন্তু এখন হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন।
অক্সিজেন সিচ্যুরেশন হঠাৎ করেই নিচে নেমে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুমিল্লার
সংক্রমণ বিষয়ক প্রাক্তণ সমন্বয়ক ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী জানান, ৪৬ জনের
মধ্যে ২২ জন আক্রান্ত এটি তো আক্রান্তের হারে অনেক উচ্চ হার। কুমিল্লা সিটি
করপোরেশনের জন্য খুবই উচ্চ সংক্রমণ। দ্রুত এলাকাভিত্তিক জোন চিহ্নিত করে
লকডাউন করতে হবে। অথবা যে বাড়িতে আক্রান্ত আছে সে বাড়িটি লকডাউন করতে হবে,
যদি করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। মানুষের জীবন জীবিকার দিকেও নজর দিতে হবে।
করোনাকালে
বিনামূল্যে অক্সিজেন দেওয়া কুমিল্লা অক্সিজেন ব্যাংকের সমন্বয়ক ও দৈনিক
কুমিল্লার কাগজ সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয় জানান, এখন অক্সিজেনের জন্য ফোন
বেশি আসছে। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাইফো অক্সিজেনের জন্য চাপ
বেড়েছেই চলছে। একজনের সিট খালি হলে ৩/৪ জন সে সিটের জন্য তদ্বির করছে।
পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।