কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে মাদক-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফামিদ (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার সৎভাই মিলনের বিরুদ্ধে। রবিবার (১১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফামিদ জামালপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তার ওরফে নান্দুর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের শীর্ষ মাদক চোরাকারবারি ফামিদ সকালে নিজ বাড়ির পাশে এনামুলের দোকানে বসে চান পান করছিল। এ সময় পেছন থেকে সৎভাই মিলন ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে ফামিদের গলায় কোপ দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মিলন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
দৌলতপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত শাহাদত হোসেন জানান, নিহত ফামিদ খারাপ প্রকৃতির লোক ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করেছে সৎভাই মিলন। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং মিলনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সীমান্তের শীর্ষ মাদক চোরাকারবারি ও সন্ত্রাসী ফামিদ হত্যা মামলায় ভারতে ১৪ বছর কারাভোগের পর ২০১৯ সালে দেশে ফিরে আবারও মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী অতীষ্ট ছিল। তাকে ধরতে পুলিশ একাধিকবার সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়।