ভারতে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চার দিনব্যাপী চলবে টিকা উৎসব। দেশটিতে ইতিমধ্যে দশ কোটিরও বেশি নাগরিক করোনার টিকা নিয়েছেন। উত্তর প্রদেশে ছয় হাজার ভ্যাকসিন সেন্টার নিয়ে এ টিকা উৎসব শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি এক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘যত বেশি সম্ভব মানুষকে টিকা দেওয়াই এই সময়ে আমাদের লক্ষ্য। ভ্যাকসিনের অপচয়ও আমরা এসময় শূন্যে নামিয়ে আনব।’ তবে টিকা নেওয়ার পরও দেশটিতে আরও ১৮০ জন মারা গেছেন।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতো রাজ্যগুলো দ্বিগুণ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে তাদের প্রচেষ্টা বাড়াচ্ছে এবং টিকা নিতে জনগণকে উৎসাহিত করছে।
কোভিড-১৯ আক্রান্তের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে গত এক সপ্তাহে পাঁচবার শনাক্তের রেকর্ড ভেঙেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটির সরকার।
উত্তর প্রদেশের প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের লক্ষ্য, ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত চার লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরপ্পা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিনকে সবচেয়ে বড় অস্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। তিনি দক্ষিণ ভারতের মানুষকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রে টিকার স্টক দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে বলে আগেই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেছেন, 'মাত্র পাঁচদিনের ভ্যাকসিন স্টক রয়েছে তাদের কাছে।'
ঝাড়খন্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তা বলেছিলেন, 'মাত্র দুদিন দেওয়ার মতো টিকা আছে তাদের হাতে।' টিকার অপ্রতুলতার মধ্যেই শুরু হচ্ছে এই টিকা উৎসব।