ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
তিনটি বিদেশি কোম্পানি থেকে ভ্যাকসিন নেবে ভারত
Published : Monday, 12 April, 2021 at 12:58 PM
তিনটি বিদেশি কোম্পানি থেকে ভ্যাকসিন নেবে ভারত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ঘাটতি নিয়ে অভিযোগের মুখে ভ্যাকসিনের যোগান বাড়াতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের শীর্ষ সূত্রের বরাত দিয়ে আন্দন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, চলতি বছরে জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও পাঁচটি ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী কোম্পানি থেকে ভ্যাকসিন নেবে ভারত। এদের মধ্যে তিনটি ভ্যাকসিন বিদেশি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির।

এ প্রসঙ্গে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে দেশে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড বাদে অন্য কোনও ভ্যাকসিন ব্যবহার হচ্ছে না। জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা আরও পাঁচটি ভ্যাকসিন হাতে পাব বলে আশা করছি। স্পুটনিক-৫, জনসন অ্যান্ড জনসন, নোভাভ্যাক্স, জ়াইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন ও ভারত বায়োটেকের ইন্ট্রান্যাজ়াল ভ্যাকসিন। এই টিকাগুলিকে ‘নিয়ন্ত্রিত জরুরি প্রয়োগের’ জন্য ছাড়পত্র দেওয়ার আগে সুরক্ষা ও কার্যক্ষমতার দিকটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখবে কেন্দ্র।’

স্পুটনিক-৫ রাশিয়ায় তৈরি ভ্যাকসিন এবং জনসন অ্যান্ড জনসন ও যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি। জ়াইডাস ক্যাডিলা ও ভারত বায়োটেক ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি।

সরকারি সূত্র জানায়, করোনার ২০টি ভ্যাকসিন এ মুহূর্তে বিভিন্ন পর্যায়ে পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে আগে ছাড়পত্র পাবে স্পুটনিক-৫। তা আগামী ১০ দিনের মধ্যেও হতে পারে। সব ঠিক থাকলে জুনের মধ্যে ভারতের বাজারে এসে যাবে স্পুটনিক-৫। আগস্টে আসবে জনসন অ্যান্ড জনসন এবং জ়াইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে নোভাভ্যাক্স এবং অক্টোবরে ভারত বায়োটেকের ইন্ট্রান্যাজ়াল ভ্যাকসিন।

এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ভারত যাতে সারা বিশ্বের ভ্যাকসিন যোগানের কেন্দ্র হয় এবং দেশের মানুষ জন্য যাতে সর্বোচ্চ মানের ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে, তা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সরকার। তার জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার সব রকম সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।’

এদিকে সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বেড়ে চলছে ভারতে। বিশ্বে সংক্রমণ তালিকায় ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে তিন থেকে দুই নম্বর স্থানে উঠে এসেছে দেশটি। ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ৩৬৪ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ২০৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯৯ জন।